৪০০ টাকার কিটে ১ ঘণ্টায় করোনা টেস্ট? ব্যয়বহুল পরীক্ষার বদলে মহামারীতে নতুন দিশা খড়গপুরের
করোনা সঙ্কটে দিশা দেখাচ্ছে আইআইটি খড়গপুরের গবেষণা। সম্প্রতি খড়গপুরের গবেষকেরা করোনা টেস্টের জন্য একটি বিশেষ মোবাইল ডিভাইস বানিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, কোনও ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হলে তাকে দ্রুত শনাক্ত করতে সক্ষম এই এই বিশেষ যন্ত্র। এই নতুন গবেষণা আগামীতে ভারতে করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে ও গতিপ্রকৃতি বুঝতে বিশেষ সহায়ক হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
একঘণ্টায় করোনা পরীক্ষা, দিশা দেখাচ্ছে খড়গপুর
সূত্রের খবর, আইআইটি-খড়গপুরের তৈরি এই বহনযোগ্য ডায়াগনস্টিক ডিভাইসের মাধ্যমে এক ঘণ্টার মধ্যে করোনা পরীক্ষা সক্ষম। উল্লেখযোগ্য ভাবে এই দামও যথেষ্ট কম হবে বলেই জানা যাচ্ছে। অতি স্বল্প মূল্যের এই টেস্ট কিট আগামীতে বাজারজাত হলে তা গরীব দেশ গুলিতে ব্যয় বহুল আরটি-পিসিআর টেস্টিংয়ের বদলে নতুন দিশা দেখাবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।
চারশো টাকাতেই করা যাবে করোনা টেস্ট
এর ফলে আগামীতে মাত্র চারশো টাকা খরচেই করোনা টেস্ট করা সম্ভব হবে বলে জানাচ্ছেন গবেষকেরা। পাশাপাশি দীর্ঘ অপেক্ষার বদলে নির্দিষ্ট অ্যাপের মাধ্যমে স্মার্ট-ফোনেই পরীক্ষার ফলও জানা সম্ভব হবে বলে খবর। বৃহৎ সংখ্যক পরীক্ষার জন্যও এই ডিভাইস ব্যবহার করা যেতে পারে বলে খবর। পাশাপাশি এই ডিভাইস ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিশেষ অভিজ্ঞ স্বাস্থ্য কর্মীদেরও প্রয়োজন নেই বলে জানা যাচ্ছে।
বাণিজ্যিক ভাবে কবে শুরু হতে পারে এই ডিভাইসের ব্যবহার?
এদিকে পরীক্ষামূলক ভাবে করোনা টেস্টের সময় দেখা গেছে এই ডিভাইসটি উল্লেখযোগ্য নির্ভুল রিপোর্ট তুলে ধরছে। গবেষকেরা জানাচ্ছেন এর জন্য ৬০ মিনিটেরও কম সময় লাগছে। এই কিট সফল ভাবে সমস্ত ট্রায়াল উতরে গেলেও আগামীতে কি ভাবে বেশি মানুষের কাছে এই পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া যায় সেই বিষয়েও ভাবন চিন্তা শুরু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা বর্তমানে আইআইটি খড়গপুরের তরফে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে এই টেস্টিং কিট বানানো সম্ভব। কিন্তু আগামীতে বাণিজ্যিক ভাবে এই কিটের ব্যবহার করতে গেলে বাণিজ্যিক চুক্তির প্রয়োজন রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
কাদের তত্ত্বাবধানে চলছে এই গবেষণা?
আইআইটি খড়গপুরের মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক সুমন চক্রবর্তী এবং স্কুল অফ বায়ো সায়েন্সের ডাঃ অরিন্দম মণ্ডলের তত্ত্বাবধানেই প্রথম এই বহন যোগ্য টেস্ট কিট তৈরির গবেষণা শুরু হয় বলে জানা যাচ্ছে। পরবর্তীতে এপ্রিলের শেষের দিকে খড়গপুরের তরফে সরকারি ভাবে এই গবেষণাটিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুদান পাঠানো হয় বলে খবর।