বাংলায় করোনার জেরে কোন যন্ত্রণায় ভুগছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা! উঠে এলো এক করুণ কাহিনী
বাংলায় করোনার জেরে কোন যন্ত্রণায় ভুগছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা! উঠে এলো এক করুণ কাহিনী
করোনা রুখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা আগে থেকে নেওয়া অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ কোয়ারেন্টাইনে থাকার চেয়ে। এমনই অভিজ্ঞতা বাংলায় আটকে পড়া ভিন রাজ্যের শ্রমিকদের। করোনার জেরে ২১ দিনের লকডাউনে গোটা দেশ। এমন পরিস্থিতিতে লকডাউন আরও বেড়ে যাওয়ার সম্ভবনা বেশি জোরালো হচ্ছে। দেশের এমন অবস্থায় বাংলায় আটকে পড়া পরিযায়ী শ্রমিকরা কোন কাহিনী শোনাচ্ছেন? সর্বভারতীয় সংবাদপত্রের রিপোর্ট জানান দিল পরিস্থিতি।
অসম থেকে যাঁরা এসেছেন.
অসম থেকে বাংলায় কাজ করতে প্রতিবছরই বহু শ্রমিক আসেন। সেভাবেই সোহেল আনসারিরাও এসেছেন।তাঁরা বলছেন, একটি স্কুলে কোয়ারেন্টাইনে আপাতত তাঁরা আছেন। আর সেখানে যা ব্যবস্থাপনা তার থেকে বাড়িতে কোভিড ১৯ প্রতিহত করার চেষ্টা করা 'বেশি ভালো'!
কী অবস্থায় রয়েছে কোয়ারেন্টাইন!
জানা যাচ্ছে, ওই পরিযায়ী শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের জন্য রাখা কোয়ারেন্টাইনগুলিতে একসঙ্গে ১৫ জন মহিলাকে রাখা হয়েছে। সখানে সোশ্যাল ডিসটেন্সিং তো দূরের কথা , একসঙ্গে এতজন থাকায় করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও থাকছে।
মালদার বিভিন্ন অংশে কী পরিস্থিতি?
উত্তরবঙ্গের একাধিক জায়গায় রয়েছে পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য কোয়ারেন্টাইনে ব্যবস্থা। চাঁচল, নিয়ামতপুর, হরিশ্চন্দ্রপুর, এনায়েৎপুর মানিকচক এলাকায় এই শিবিরগুলিতে যে পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ তা স্বীকার করে নিয়েছেন সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসকও। এমনই বার্তা দিয়েছে সর্বভারতীয় সংবাদপত্রের রিপোর্ট।
একটি স্কুলবাড়িতে ১২৫ জন!
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট বলছে, মালদার একটি স্কুল বাড়িতে ১২৫ জনকে লকডাউনের সময়ে রাখা হয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর এই স্কুলটি পরিচালনা করেন। তিনি এসে রোজ পরিস্থিতি উন্নতি হওয়ার বার্তা দিলেও , তা এখনএ চোখে দেখতে পাননি আবাসিকরা। ফলে করোনা লকডাউনে ভোগান্তি বেড়েই চলেছে এই পরিযায়ী শ্রমিকদের।