করোনা ভাইরাসের হাত থেকে মুক্তি কবে মিলবে! কলকাতার গবেষকরা কী বলছেন
করোনার সঙ্গে লড়াইয়ের একমাত্র উপায় আপাতত সোশ্যাল ডিসটেন্সিং। গোটা মানবসভ্যতার সঙ্গে আপাতত করোনাভাইরাসের মতো এক অচেনা শত্রুর যুদ্ধ চলছে। এমন সময় মানুষের কাছে হাতিয়ার বলতে শুধুই সোশ্যাল ডিসটেন্সিং। এদিকে, অসহায় এমন পরিস্থিতিতে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করেছে কোভিড ১৯ আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে কলকাতার ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইন্সটিটিউটের ও অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ হাইজিন অ্যান্ড পাবলিক হেল্থের গবেষকরা করোনা সম্পর্কে কিছু ধারণা দিলেন।
গবেষকরা কী বলছেন?
শহরের দুই নামী প্রতিষ্ঠানের গবেষকরা একযোগে একটি গবেষণার 'পেপার' প্রকাশ করতে চলেছেন। সেখানে করোনার 'টেমপোরারি ইরাডিকেশন অফ স্প্রেড অফ টাইম' সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য দেওয়া রয়েছে। বলা হচ্ছে, করোনা নির্মূলে লকডাউন অত্যন্ত জরুরি। লকডাউনের সময়সীমাও সেখানে উল্লেখ করা রয়েছে।
কত দিনের লকডাউন জরুরি?
গবেষণাপত্র বলছে , করোনা রুখতে ২৯ দিনের লকডাউন অত্যন্ত জরুরি। গবেষকরা বলছেন, যেহেতু এটি সদ্য আসা একটি রোগ, আর মানুষের কাছে এর সম্পর্কে সীমীত জ্ঞান রয়েছে, এর সম্পর্কে সঠিক ধারণায় আসা এখনও দূর অস্ত। তবে লকডাউন ও সঠিক স্ক্রিনিং সমস্যা কাটাতে পারে।
কতদিন থাকতে পারে এই মহামারীর নেপথ্যের ভাইরাস?
টিটিই (টাইম টু এক্সটিংশন অফ দ্য ডিজিস ) বা রোগ মুছে যেতে কতদিন লাগবে তা নিয়ে তথ্য দিচ্ছে গবেষণাপত্র । সেখানে বলা হয়েছে। অন্ততপক্ষে ২ বছর লাগতে পারে করোনা থেকে মুক্তি পেতে। প্রকাশিত হওয়ার অপেক্ষায় থাকা গবেষণা পত্র এমনই বার্তা দিচ্ছে।
ভারতের জন্য আরও কঠিন দিন আসন্ন!
গবেষকদের দাবি, করোনার প্রথম দফা চলছে আপাতত ভারতে। এরপর ভারতে আরও একটি স্রোত করোনার জেরে আসবে। আর সেই দ্বিতীয় স্রোত সামলে নেওয়াও ভারতের পক্ষে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে বলে দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা।