করোনার আতঙ্কে কলকাতার বাজারে উধাও মাস্ক-স্যানিটাইজার, কোথাও মিললেও দাম চারগুণ
করোনার আতঙ্কে কলকাতার বাজারে উধাও মাস্ক-স্যানিটাইজার, কোথাও মিললেও দাম চারগুণ
চিনের নোবেল ভাইরাস করোনার আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা পৃথিবী জুড়েই। আতঙ্কে প্রতিবেশী দেশ গুলোতে বাতিল হচ্ছে একের পর এক অনুষ্ঠান ও বিভিন্ন কর্মসূচি। করোনা আতঙ্কে কেন্দ্র ও রাজ্যও নানান সতর্কতা জারি করেছে সর্বত্র।
সকলেরই একটাই লক্ষ্য যাতে কোনও ভাবে হোক এই মারণ ভাইরাস না ছড়ায়। সেই সঙ্গে করোনা মোকাবিলাও মূল লক্ষ্য। তাই করোনা মোকাবিলার আসল উপাদান হিসেবে ব্যাবহার করা হচ্ছে মাস্ক। যাতে একে অপরের নিশ্বাস প্রশ্বাসের সম্মুখীন না হতে হয়।
তাই কলকাতা সহ পার্শ্ববর্তী এলাকা জুড়ে দেদার বিক্রি হচ্ছিল মাস্ক। মাস্ক বিক্রিতে হিমসিম খেতে হচ্ছিল বিক্রেতাদের। শপিং মল থেকে ওষুধের দোকান, এমনকি সাধারণ দোকান ক্রেতাদের চাহিদার এক নম্বরে মাস্ক। তবে রাতারাতি বাজার থেকে মাস্ক উধাও হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে লাফিয়ে লাফিয়ে বেরেছে মাস্কের দামও। গুণগত মান অনুযায়ী প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে মাস্কের দাম। ২৫-৩৫ টাকার মাস্ক হয়েছে ৭০-৮০ টাকা। ১২০-১৫০ টাকার মাস্ক ৩০০ টাকা। এছাড়াও ৩০০ টাকার কাছাকাছি। এছড়াও হাজার টাকার বেশি দামেরও মাস্ক রয়েছে। অন্যদিকে পর্যাপ্তভাবে মজুত না থাকায় তুলনমূলকভাবে দাম বাড়ছে হ্যান্ড ওয়াশেরও। ৪০ টাকারটা ৮৫ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।
কিন্তু এই এন৯৫ মাস্কের রাতারাতি দর বেড়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ রাজ্য সরকার। তার জেরেই একের পর এক ওষুধের দোকান ও গুদামে হানা দিচ্ছে রাজ্য ও কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা।
তবে বিক্রেতাদের বক্তব্য, ক্রেতাদের চাহিদা রয়েছে ব্যাপক। সেই সঙ্গে বিক্রিও হচ্ছে। তাহলে তুলনমূলকভাবে জোগান দেওয়া যাচ্ছে না। সেকারণে তাদেরকেই কিনতে হচ্ছে ছড়া দামে। তাই দামও বেড়েছে।
সূত্রের খবর, শহরের একাধিক হাসপাতাল সংলগ্ন ওষুধের দোকান ও গুদামগুলিতে হানাদারি শুরু হয়েছে। সেই সব জায়গা থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় ক্যাশমেমো, রেজিস্ট্রার, মাস্ক। সেই সঙ্গে ওই সব দোকানদারদের ইবির তরফে লিখিত নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে যাতে তাঁরা তাঁদের দোকানের সামনে বোর্ড টাঙিয়ে লিখে রাখেন যে তাঁরা কোথা থেকে মাস্ক কিনছেন, কত দামে বিক্রি করছেন, আর ঠিক কতই বা বিক্রি হচ্ছে ইত্যাদি।