ভারতে লকডাউনে ১৮ রাজ্যে আটকে বহু বাঙালি! 'জননেত্রী' মমতার চরম উদ্যোগ
ভারতে লকডাউনে ১৮ রাজ্যে আটকে বহু বাঙালি! 'জননেত্রী' মমতার চরম উদ্যোগ
লকডাউন গোটা দেশজুড়ে। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে একাধিক প্ল্যাটফর্মে লকডাউনের জেরে আটকে পড়া বাঙালিরা নিজেদের অসহায়তার কথা বলতে শুরু করেছেন। বারবার তাঁরা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী ও দেশের প্রধানমন্ত্রীর সাহায্য এই সংকটের সময় পাওয়ার আশা জানিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এগিয়ে এলেন বাংলার আটকে পড়া মানুষদের পাশে দাঁড়াতে।
মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগ ১৮ রাজ্য ঘিরে
তামিলনাড়ু থেকে কর্ণাটক, দিল্লি থেকে উত্তরপ্রদেশ। দেশের ১৮ টি এলাকায় বহু বাঙালি আটকে পড়েছেন। ২৪ মার্চ করোনার জেরে মধ্যরাত থেকে দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণার ফলে বাংলার এই বাসিন্দারা রাতারাতি ঘরে ফিরতে পারেননি। আর তাঁদের জন্যই এবার উদ্যোগ নিলেন মমতা।
১৮ জন মুখ্যমন্ত্রীকে মমতার চিঠি
দেশের ১৮ টি রাজ্যে যেখানে বাংলার মানুষ আটকে পড়েছেন অসহায় অবস্থায় , সেই সমস্ত এলাকার মুখ্যমন্ত্রীদে চিঠি পাঠালেন মমতা। চিঠিতে তিনি পশ্চিমবঙ্গের আটকে পড়া বাসিন্দাদের সাহায্যের জন্য আর্জি জানিয়েছেন।
জননেত্রীর বার্তা মুখ্যমন্ত্রীদের
জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের বার্তায় ১৮ জন মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন, সেখানে আটকে পড়া বাংলার বাসিন্দাদের অত্যাবশ্যকীয় জিনিস যেন দেওয়া হয়। এমন ত্রাণ দিতে যেন সেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা পিছনা না হন।
কোন রাজ্যে চিঠি?
উত্তরপ্রদেশ,অন্ধ্রপ্রদেশ, ছত্তিশগডজ়,গুজরাত, গোয়া বিহার, রাজস্থান, ঝাড়খন্ড দিল্লি, হিমাচলপ্রদেশ, উত্তরাখন্ড, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি পাঠান মমতা। এছাড়াও কেরল, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, তেলাঙ্গানা, ওড়িশা, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীকেও বার্তা দেন মমতা।
কেন্দ্রকে আবেদন করেও সাড়া মেলেনি
এর আগে রাজ্যে ফিরতে চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন করেছেন অনেকে। আর তারপরই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করা হল।মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করার পরই সর্বদল বৈঠকে কেন্দ্রকে চিঠি লেখার কথা বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে কেন্দ্রের ক্যাবিনেট সচিব ও সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি লিখতে নির্দেশও দিয়ে দেন তৎক্ষণাৎ। এবার মমতা আটকে পড়া মানুষদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করতে কেন্দ্রের কাছেও আবেদন করা হয় বলে খবর।
পাকিস্তানে করোনায় আক্রান্ত হলেই স্থানান্তরিত করা হচ্ছে POK-তে!