লকডাউনে শিশুদের অবসাদ কাটাতে অনলাইনে অভিনব প্রতিযোগিতা
লকডাউনে শিশুদের অবসাদ কাটাতে অনলাইনে অভিনব প্রতিযোগিতা
উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটে লকডাউনের মাঝে শিশুদের মানসিক অবসাদ কাটাতে এবং শিশু মনের বিকাশ ঘটাতে অনলাইনে অভিনব প্রতিযোগিতার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে টানা লকডাউনের জেরে ঘর বন্দি সকলেই। ঘর বন্দি শিশুরাও। বন্ধ স্কুল পাঠশালা। যেতে পারছে না খেলতে, ঘুরতে। এই গৃহ বন্দি অবস্থায় থাকতে থাকতে শিশু মন হয় উঠছে বিদ্রোহী হয়ে। মানসিক অবসাদে ভুগছে শিশুরা। বাবা মায়ের সাথেও বাড়ছে দূরত্ব। কিছু কিছু শিশুর মধ্যে এই আবেগগুলো দীর্ঘস্থায়ী বা এতটাই তীব্র হয় যে এর নেতিবাচক প্রভাব তাঁদের মানসিক ও চারিত্রিক স্বাস্থ্যের ওপর পরে যা পরবর্তী জীবনে সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। শিশুদের অবসাদ যথেষ্ট চিন্তার কারণ। অবসাদের প্রভাব শিশুটির ভাবনা, চিন্তা, ব্যবহার এবং তাঁর জীবনের গুণমানের ওপর পড়ে।তাই পরিস্থিতিতে শিশু মনের পরিবর্তন আনতেই এই অনলাইন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সামনেই ২৫ শে বৈশাখ। রবীন্দ্র জয়ন্তি। কিন্তু বন্ধ স্কুল কলেজ। অন্যান্য বারের মতো এবছর তারা পালন করতে পারবেনা রবি ঠাকুরের জন্মদিন। তাই রবীন্দ্র জয়ন্তিতে সামনে রেখে একদিকে যেমন রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন, অন্যদিকে শিশু মনের মানসিক অবসাদ কাটাতে এক অন্য রকম স্বাদ দিতে আয়োজন করা হয়েছে অনলাইনের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার। বিষয় হিসেবে রাখা হয়েছে নাচ গান আবৃত্তি ও ছবি আঁকা। ফোন করে নির্দিষ্ট নম্বরে প্রতিযোগিতায় নাম লেখানো যাবে। এর পর একটা নির্দিষ্ট সময়ে অনলাইনের মাধ্যমে শুরু হবে আঁকা প্রতিযোগিতা সেখানে বিষয় রাখা হয়েছে করোনা পরিস্থিতি। পাশাপাশি অনলাইনের মাধ্যমে আবৃত্তি ও গানের ভিডিও পাঠাতে হবে প্রতিযোগীদের। সেখানেও একটা সময় নির্দিষ্ট নির্ধারণ করা হয়েছে। বিচারে প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের বাড়িতে পুরস্কার পৌঁছো দেওয়ারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে উদ্যোক্তাদের তরফে।
গৃহবন্দি অবস্থায় মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অনলাইনে এই অভিনব সংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজনে খুশি প্রত্যেক আগ্রহী প্রতিযোগীই। প্রতিযোগীদের পাশাপাশি তাদের অভিভাবকরাও এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।