করোনা সংক্রমিত শহরের ৩০০ ডাক্তার, চিকিৎসা করবেন কে? সংকট বাড়বে রোগীদের
করোনা সংক্রমিত শহরের ৩০০ ডাক্তার, চিকিৎসা করবেন কে? সংকট বাড়বে রোগীদের
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে কলকাতা শহরে। ইতিমধ্যেই ৩০০ জন চিকিৎসক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। একের পর এক চিকিৎসকের করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। শহরের চিকিৎসক এবং নার্সরা একের পর এক করোনা আক্রান্ত হলে কীভাবে মিলবে পরিষেবা এই নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েেছ।
রাজ্যে দৈনিক করোনা সংক্রমণ ৯০০০ পার করে গিয়েছে। হু হু করে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। করোনার থার্ড ওয়েভ শুরু হয়ে গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ব্যপক করোনা সংক্রমণে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হতে শুরু করে দিয়েছেন হাসপাতালের চিকিৎক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা। শুধু মাত্র কলকাতা শহরেই ৩০০ জন চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মী তো রয়েইছেন।
ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৯১ জন পড়ুয়া চিকিৎসক। ইতিমধ্যেই হোস্টেল খালি করার নির্দেশ দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এনআরএস হাসপাতালেও একের পর এক চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে মোট ৭০ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮০ চিকিৎসক। চিত্তরঞ্জন সেবা সদনে আক্রান্ত ৩৬ জন ডাক্তার করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজে ৩৫ জনের বেশি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত।
শুধু সরকারি হাসপাতাল নয় বেসরকারি হাসপাতালেরও একাধিক চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। শহরের বেসরকারি হাসপাতালে মোট ২০-২৫ জন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত। জেলা হাসপাতালগুলিেতও চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। পূর্ব বর্ধমানে ১২ জন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ৩ জন বিএমওএইচ বর্ধমানে এবং মেমারিতে ২ জন বিএমওএইচ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সেই সঙ্গে মঙ্গলকোটেরও বিএমওএইচ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর হাসপাতালের তিন চিকিৎসক ও নার্স সহ মোট ১০ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ১৪ জন ইন্টার্ন, তিন জন নার্স করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী সহ মোট ৪৫ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালেরও পাঁচ জন নার্সিং স্টাফ করোনা আক্রান্ত। আবার ওই হাসপাতালের এক ডেপুটি সুপার করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে চলায় উদ্বেগ বাড়ছে পরিষেবা নিয়ে। কীভাবে চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন রোগীরা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।