১৫ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুন, কলকাতার একাধিক বেসরকারী হাসপাতলে করোনা বেড নিয়ে হাহাকার
১৫ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুন, কলকাতার একাধিক বেসরকারী হাসপাতলে করোনা বেড নিয়ে হাহাকার
করোনা আক্রান্তের নিরিখে প্রত্যহই নতুন রেকর্ড করছে পশ্চিমবঙ্গ। পাশাপাশি কলকাতাতেও রোজ দিন বাড়ছে কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৪৩৫ জন। রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩১ হাজার ৪৪৮। তারমধ্যে কলকাতাতেই আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ২৬ জন।
১৫ দিনে দ্বিগুন হয়েছে আক্রান্তের সংখ্যা
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বিবৃতি অনুযায়ী গত ১৫ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুন হয়েছে শহর কলকাতায়। তার তারজেরে বেডের সঙ্কট শুরু হয়েছে শহরের বেসরকারী হাসপাতাল গুলিতে। বর্তমানে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩১ হাজার ৪৪৮। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের। রাজ্যে এ পর্যন্ত মোট মৃত্যু হল ৯৫৬ জনের। সূত্রের খবর, জুনের ২৯ তারিখ কলকাতায় যেখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৭৭২ তা গত রবিবার পর্যন্ত বেড়ে হয় ৩৫৬৮।
গোটা রাজ্যে ৮০ টি কোভিড হাসাপাতালে চলছে চিকিত্সা
এর এই তথ্য দেখেই চোখ কপালে তুলছেন শহরবাসী। এদিকে গোটা রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ১০ হাজার ৫০০ করোনা আক্রান্ত হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বলেও জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, এখনও অবধি রাজ্যে ৮০টি কোভিড হাসাপাতালে করোনা রোগীদের জন্য ১০ হাজার ৮৬২ টি বেডের ব্যবস্থা করেছিল রাজ্য সরকার। বর্তমানে সেই সমস্ত জায়গাতেই সঙ্কট দেখা দিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
সরকারি হাসাপাতালে মোট বেডের সংখ্যা ২ হাজারের বেশি
এদিকে কলকাতায় সরকার পরিচালিত মোট ৭টি করোনা হাসপাতাল রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। যেখানে মোট বেডের সংখ্যা ২ হাজার ৬২। পাশাপাশি গোটা শহরে করোনা চিকিত্সার জন্য ৩২টি বেসরকারী হাসপাতালও রয়েছে। যখানে সব মিলিয়ে মোট বেডের সংখ্যা ১৪১৪। এর মধ্যে শহরের বেশ কিছু নামজাদা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালও রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
বেসরকারি হাসপাতাল গুলিতে ফাঁকা রয়েছে মাত্র ২১৮টি বেড
এদিকে নিউ টাউন এবং সল্টলেকেও বেশ কিছু বেসরকারী হাসপাতালে করোনা চিকিত্সা হচ্ছে বলে জানা গেছে। সেখানেই সর্বসাকুল্যে ৩৩৬টি বেড রয়েছে। এদিকে রাজ্য সরকার প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী শহরের মধ্যে থাকা এই ৩২টি বেসরকারী হাসাপাতালের ১৩টিতে এখন একটও করোনা বেড ফাঁকা নেই। বাকী গুলিতে সব মিলিয়ে এখনও অবধি মোট ২১৮টি বেড ফাঁকা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে শহরে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাই প্রত্যহ দেড় হাজারের কাছাকাছি।
শুধু বিরোধীদের অভিযোগই নয়, এবার পরিযায়ী শ্রমিক ইস্যুতে বম্বে হাইকোর্টের ধাক্কা মমতার সরকারকে