করোনা সংক্রমণে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা, একনজরে জেলার পরিসংখ্যান
করোনা সংক্রমণের থেকে সুস্থতা বেশি কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায়। বিগত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতার থেকে বেশি করোনা সংক্রমণ হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়।
করোনা সংক্রমণের থেকে সুস্থতা বেশি কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনায়। বিগত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতার থেকে বেশি করোনা সংক্রমণ হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়। মৃতের সংখ্যায় এদিনও সবার আগে রয়েছে কলকাতা। কলকাতায় মৃত্যু হয়েছে অপেক্ষাকৃত কম ১২ জনের। করোনা সংক্রমণে সুস্থতার সংখ্যা বেশি অন্য অনেক জেলাতেও।
কলকাতার থেকে বেশি সংক্রমিত উত্তর ২৪ পরগনায়
এদিন বাংলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩২৩২। উত্তর ২৪ পরগনায় ৫৪৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন একদিনে। কলকাতায় করোনা সংক্রমিত ৫১৬। করোনা সংক্রমণে এদিনও উত্তর ২৪ পরগনা সবার আগে। কলকাতার তুলনায় ধারাবাহিকভাবে উত্তর ২৪ পরগনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি হচ্ছে। উদ্বেগ বাড়ছে ক্রমশ।
একনজরে কলকাতার করোনা পরিসংখ্যান
শুক্রবার পর্যন্ত কলকাতায় মোট করোনা আক্রান্ত ৩৫৬৯৪। এদিন ৫১৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১১৬৬ জনের। এদিন মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। এখন পর্যন্ত করোনা মুক্ত হয়েছেন মোট ২৮৬১৮ জন। এখনও সক্রিয় করোনা আক্রান্ত ৫৯১০ জন। এদিন কলকাতায় করোনা সংক্রমণ মুক্ত হয়েছেন আক্রান্তেরও বেশি ৭০৮ জন।
উত্তর ২৪ পরগনায় করোনা পরিসংখ্যান
উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত ২৮৬১৯ জন। এদিন আক্রান্ত হয়েছেন ৫৪৭ জন। মৃত্যু হয়েছে মোট ৬২৯ জনের। এদিন মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। এখন পর্যন্ত করোনা মুক্ত হয়েছেন মোট ২২২৯৭ জন। এখনও সক্রিয় করোনা আক্রান্ত ৫৬৯৩ জন। এদিন করোনা সংক্রমণ মুক্ত হয়েছেন ৬৫১ জন।
হাওড়া-হুগলি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা
হাওড়ায় আক্রান্তের নিরিখে বর্তমানে তিন নম্বরে রয়েছে। হাওড়ায় মোট আক্রান্ত এখন পর্যন্ত ১২১৯৩। এদিন আক্রান্ত হয়েছেন ১৫৩ জন। আর এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৩২৪ জন। এদিন মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ২০৯ জন বেড়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ৯৭৬৪। হুগলিতে ১৮৫ জন বেড়ে আক্রান্ত ৬৫২৮ জন।
অন্যান্য জেলায় করোনা পরিসংখ্যান
এছাড়া আলিপুরদুয়ারে ১২৮৪, কোচবিহারে ২০৮২, দার্জিলিংয়ে ৪২৪৫ জন, কালিম্পংয়ে ৩৯৮, জলপাইগুড়ি ২৭২১, উত্তর দিনাজপুর ১৯৮১, দক্ষিণ দিনাজপুর ৩২১৬, মালদহে ৪৪০৬, মুর্শিদাবাদ ২৬৪৬, নদিয়া ২৭৫৯, বীরভূম ১৪২৫, পুরুলিয়া ৭২৫, বাঁকুড়া ১৮৬৬, ঝাড়গ্রাম ১৭৭, পশ্চিম মেদিনীপুর ২৯২৯, পূর্ব মেদিনীপুর ৪৭৫২, পূর্ব বর্ধমান ২৩০২, পশ্চিম বর্ধমান ২৮১৮ জন মোট আক্রান্ত হয়েছেন। মোট ৬৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন অন্যান্য রাজ্যের বাসিন্দা।