করোনাজয়ীর সংখ্যায় সংক্রমণকে টেক্কা স্বস্তি দিল টানা ৬ দিন, একনজরে বাংলার পরিসংখ্যান
বাংলায় করোনা সংক্রমিতের তুলনায় সুস্থতার সংখ্যা বেশি গত পাঁচদিন। শুক্রবারের করোনা বুলেটিনে যে তথ্য সামনে এল, তাতে খানিক স্বস্তি মিলল সব ক্ষেত্রেই, শুধু মৃতের সংখ্যা নিয়ে উদ্বেগ জারি।
বাংলায় করোনা সংক্রমিতের তুলনায় সুস্থতার সংখ্যা বেশি গত ৬ দিন। শনিবারের করোনা বুলেটিনে যে তথ্য সামনে এসেছে, তাতে ফের স্বস্তি এনে দিল করোনাজয়ীর সংখ্যা। শুধু মৃতের সংখ্যা নিয়ে উদ্বেগ জারি রইল এদিনও। রেকর্ড টেস্টিং সত্ত্বেও করোনা সংক্রমণ তিন হাজারের আশেপাশেই সীমাবদ্ধ থেকেছে। এদিন করোনায় মুক্তির সংখ্যা ৩৩০০-র বেশি।
একনজরে বাংলার করোনা পরিসংখ্যান
স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, বিগত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ৩০১২ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা গতদিন পর্যন্ত ছিল ১ লক্ষ ৫৩ হাজার ৭৫৪ জন। এদিন ২৯৮২ জন বেড়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ৫৬ হাজার ৭৬৬ জনে। রাজ্যে করোনা সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩১২৬। এদিন মৃত্যু হয়েছে ৫৩ জনের।
মোট আক্রান্তের নিরিখে পরিসংখ্যান
এদিন রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মোট আক্রান্ত ১ লক্ষ ৫৬ হাজার ৭৬৬ জনের মধ্যে এই মুহূর্তে চিকিৎসাধীন ২৫ হাজার ৯৯৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা মুক্ত হয়ে ছাড়া পেয়েছেন ৩৩১২ জন। মোট করোনা মুক্ত হলেন ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৬৪৪ জন। সুস্থতার রেট বেড়ে হয়েছে ৮১.৪২ শতাংশ।
করোনা টেস্টিং
করোনা বুলেটিনে জানানো হয়েছে এদিন পর্যন্ত করোনা টেস্ট হয়েছে ১৮ লক্ষ ০১ হাজার ৯৬০ জনের। ৭০টি ল্যাবরেটরিতে এই টেস্টিং হচ্ছে। ১০ লক্ষ জনের মধ্যে টেস্টিং রেট ২০০২২। এদিন টেস্টিং হয়েছে ৪৩২৩২ জনের। মোট টেস্টিংয়ের নিরিখে করোনা সক্রিয়ের হার ৮.৭০ শতাংশ।
সংক্রমণে উদ্বেগ জেলায় জেলায়
আক্রান্তের হার কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলি-সহ বেশ কিছু জেলায় উদ্বেগজনক। কলকাতায় করোনা আক্রান্ত ৩৯২৮৫। এদিন ৪৭০ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এরপরেই আছে উত্তর ২৪ পরগনা। এখানে আক্রান্ত ৩২৮০৭ জন। এদিন আক্রান্ত হয়েছেন ৪৬৩ জন। তারপরেই আছে হাওড়া, হাওড়ায় আক্রান্ত ১৩১৭১। এদিন আক্রান্ত হয়েছেন ১৪৯ জন। তারপরের স্থানে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। এদিন ১৮৪ জন বেড়ে হয়েছে ১০৯৫৮। হুগলিতে ১১৯ জন বেড়ে আক্রান্ত ৭৪১৩ জন। এরপর পাঁচ হাজারের উপর আক্রান্ত পূর্ব মেদিনীপুরে, চার হাজারের বেশি আক্রান্ত মালদহ ও দার্জিলিংয়ে।