বাংলায় করোনা সংক্রমণ ছাড়িয়ে গেল ৩ লক্ষ! লাফিয়ে বাড়ছে সক্রিয়ের সংখ্যাও
বাংলায় করোনা সংক্রমণ ছাড়িয়ে গেল ৩ লক্ষ! লাফিয়ে বাড়ছে সক্রিয়ের সংখ্যাও
বাংলায় করোনা সংক্রমণ ছাড়িয়ে গেল তিল লক্ষ। পুজোর মুখে বেড়েই চলেছে করোনার দৈনিক সংক্রমণ। স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী রাজ্যে কম টেস্টিং সত্ত্বেও রেকর্ড সংক্রমণ হচ্ছে। মঙ্গলবার মাত্র ৪২ হাজার টেস্টিং হয়েছে। তাতেই দৈনিক করোনা সংক্রমণ ছাড়িয়ে গিয়েছে ৩৬০০। দৈনিক সংক্রমণের সঙ্গে বাড়ছে সক্রিয়ের সংখ্যাও।
একনজরে বাংলার করোনা পরিসংখ্যান
স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, বিগত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ৩৬৩১ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা গতদিন পর্যন্ত ছিল ২ লক্ষ ৯৮ হাজার ৩৮৯ জন। এদিন ৩৬৩১ জন বেড়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লক্ষ ০২ হাজার ০২০ জন। রাজ্যে করোনা সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫৭৪৪। এদিন মৃত্যু হয়েছে ৬২ জনের।
মোট আক্রান্তের নিরিখে পরিসংখ্যান
রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মোট আক্রান্ত ৩ লক্ষ ০২ হাজার ০২০ জনের মধ্যে এই মুহূর্তে চিকিৎসাধীন ৩০ হাজার ৯৮৮ জন। এদিন ৩৮৪ জন বাড়ল সক্রিয়ের সংখ্যা। দৈনিক আক্রান্ত বেড়েছে ৩৬৩১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা মুক্ত হয়ে ছাড়া পেয়েছেন ৩১৮৫ জন। মোট করোনা মুক্ত হলেন ২ লক্ষ ৬৫ হাজার ২৮৮ জন। সুস্থতার রেট হয়েছে ৮৭.৮৪ শতাংশ।
করোনা টেস্টিং
করোনা বুলেটিনে জানানো হয়েছে এদিন পর্যন্ত করোনা টেস্ট হয়েছে ৩৭ লক্ষ ৭৫ হাজার ৮৯৩ জনের। ৯১টি ল্যাবরেটরিতে এই টেস্টিং হচ্ছে। ১০ লক্ষ জনের মধ্যে টেস্টিং রেট ৪১৯৫৪। এদিন টেস্টিং হয়েছে ৪২২৩৭ জনের। মোট টেস্টিংয়ের নিরিখে করোনা সক্রিয়ের হার ৮.০০ শতাংশ।
সংক্রমণে উদ্বেগ জেলায় জেলায়
আক্রান্তের হার কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলি-সহ বেশ কিছু জেলায় উদ্বেগজনক। কলকাতায় করোনা আক্রান্ত ৬৫৮৮৮। এদিন ৭২৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এরপরেই আছে উত্তর ২৪ পরগনা। এখানে আক্রান্ত ৬০৮৭৭ জন। এদিন আক্রান্ত হয়েছেন ৭৫৬ জন। তারপরেই আছে হাওড়া, হাওড়ায় আক্রান্ত ২১০৩৩। এদিন আক্রান্ত হয়েছেন ২০৩ জন। তারপরের স্থানে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। এদিন ২২১ জন বেড়ে হয়েছে ২০১৬৬। হুগলিতে ২২৪ জন বেড়ে আক্রান্ত ১৪৯৫৮ জন। এরপর পূর্ব মেদিনীপুর ১২৫৭০। এদিন বেড়েছে ১২৫ জন। পশ্চিম মেদিনীপুরে মোট আক্রান্ত ১১৩১৫। এদিন বৃদ্ধি পেয়েছে ১৬৫।
কলকাতার হারানো ঐতিহ্য ফেরালেন মমতা, দেড় দশক পর ফিরল দোতলা বাস