পুজো-শেষে করোনার সংক্রমণ নামল চার হাজারের নিচে, লাফিয়ে বাড়ছে সুস্থের সংখ্যা
পুজো-শেষে করোনার সংক্রমণ নামল চার হাজারের নিচে, লাফিয়ে বাড়ছে সুস্থের সংখ্যা
পুজো শেষ হতেই বাংলায় দৈনিক করোনা সংক্রমণ ফের নিম্নমুখী হল। ফের চার হাজারের নিচে নেমে এল করোনার দৈনিক সংক্রমণ। উল্টোদিকে লাফিয়ে বাড়ছে দৈনিক সুস্থতার সংখ্যা। ফলে সুস্থতার হারও বাড়ছে, রাজ্যে ফের কমছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। এর মধ্যে একটাই অস্বস্তির কারণ, তা হল টেস্টিং রেট বাড়ছে না।
একনজরে বাংলার করোনা পরিসংখ্যান
স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, বিগত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ৩৯৫৭ জন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা গতদিন পর্যন্ত ছিল ৩ লক্ষ ৫৩ হাজার ৮২২ জন। এদিন ৩৯৫৭ জন বেড়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লক্ষ ৫৭ হাজার ৭৭৯ জন। রাজ্যে করোনা সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬৬০৪। এদিন মৃত্যু হয়েছে ৫৮ জনের।
মোট আক্রান্তের নিরিখে পরিসংখ্যান
রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মোট আক্রান্ত ৩ লক্ষ ৫৭ হাজার ৭৭৯ জনের মধ্যে এই মুহূর্তে চিকিৎসাধীন ৩৭ হাজার ১৭২ জন। এদিন ১৮ জন কমল সক্রিয়ের সংখ্যা। দৈনিক আক্রান্ত বেড়েছে ৩৯৫৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা মুক্ত হয়ে ছাড়া পেয়েছেন ৩৯১৭ জন। মোট করোনা মুক্ত হলেন ৩ লক্ষ ১৪ হাজার ০০৩ জন। সুস্থতার রেট হয়েছে ৮৭.৭৬ শতাংশ।
করোনা টেস্টিং
করোনা বুলেটিনে জানানো হয়েছে এদিন পর্যন্ত করোনা টেস্ট হয়েছে ৪৩ লক্ষ ৮২ হাজার ৬৭৮ জনের। ৯২টি ল্যাবরেটরিতে এই টেস্টিং হচ্ছে। ১০ লক্ষ জনের মধ্যে টেস্টিং রেট ৪৮৬৯৬। এদিন টেস্টিং হয়েছে ৪২১০৮ জনের। মোট টেস্টিংয়ের নিরিখে করোনা সক্রিয়ের হার ৮.১৬ শতাংশ।
সংক্রমণে উদ্বেগ জেলায় জেলায়
আক্রান্তের হার কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া ও হুগলি-সহ বেশ কিছু জেলায় উদ্বেগজনক। কলকাতায় করোনা আক্রান্ত ৭৭৬৯২। এদিন ৮৮৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এরপরেই আছে উত্তর ২৪ পরগনা। এখানে আক্রান্ত ৭২৭০৬ জন। এদিন আক্রান্ত হয়েছেন ৮৭৫ জন। তারপরেই আছে হাওড়া, হাওড়ায় আক্রান্ত ২৪৩৪৪। এদিন আক্রান্ত হয়েছেন ১৫১ জন। তারপরের স্থানে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। এদিন ২৪৯ জন বেড়ে হয়েছে ২৩৬০৮। হুগলিতে ১৭৪ জন বেড়ে আক্রান্ত ১৭৫১৮ জন। এরপর পূর্ব মেদিনীপুর ১৪৪৩৫। এদিন বেড়েছে ১৬০ জন। পশ্চিম মেদিনীপুরে মোট আক্রান্ত ১৩৬৪৫। এদিন বৃদ্ধি পেয়েছে ১৮২।
বিজেপির সঙ্গে গোপন আঁতাত, ফাঁস হতেই পদ ছাড়লেন ফেসবুকের ভারতের পাবলিক পলিসি প্রধান আঁখি দাস