বিধিনিষেধের সুফল পাচ্ছে বাংলা! এক ধাক্কায় অনেকটাই কমল করোনার পজিটিভ রেট, নবান্নে জানালেন মমতা
গোটা দেশের পাশাপাশি বাংলাতেও চোখ রাঙাচ্ছে করোনার ভাইরাস। গত কয়েকদিন ধরে কার্যত প্রায় দৈনিক ২০ হাজার করে মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। এই অবস্থায় রাজ্যে ১৫ দিনের কার্যত কড়া লকডাউন জারি করেছে রাজ্য সরকার। একাধিক বিধি নিষেধ
গোটা দেশের পাশাপাশি বাংলাতেও চোখ রাঙাচ্ছে করোনার ভাইরাস। গত কয়েকদিন ধরে কার্যত প্রায় দৈনিক ২০ হাজার করে মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। এই অবস্থায় রাজ্যে ১৫ দিনের কার্যত কড়া লকডাউন জারি করেছে রাজ্য সরকার। একাধিক বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
আর এরপর থেকে করোনার সংক্রমণ কমতে চলেছে বাংলায়। এক ধাক্কায় অনেকটাই কমেছে। আর তাতে স্বস্তি রাজ্য সরকারের। আর এই অবস্থায় সরকার মনে করছে, আরও ১৫ দিন কড়া এই বিধি নিষেধ থাকলে আরও কমবে সংক্রমণ।
বিধিনিষেধের কারণেই সংক্রমণ কমছে
রাজ্যে চলা এই বিধিনিষেধের কারণেই সংক্রমণ যে অনেকটাই কমেছে, আজ নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্নের সভাঘরে সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা বলেন, "রাজ্যের করোনা পজিটিভিটি রেট গত কয়েকদিনে ৩৩ শতাংশ থেকে কমে ১৮-১৯ শতাংশে নেমে এসেছে। এর জন্য রাজ্যের মানুষকে অসংখ্য ধন্যবাদ। কারণ তাঁদের সাহায্য ছাড়া এটা সম্ভব হত না। আমি মনে করি আরও ১৫দিন যদি এই বিধিনিষেধগুলি মানতে পারি, তাহলে আরও ভাল হবে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ডেথ রেট ০.৫৬ শতাংশ। যা কিনা প্রথম ঢেউয়ের তুলনায় অনেকটাই কম।"
১.৪ কোটি লোককে করোনার ভ্যাকসিন
ইতিমধ্যে রাজ্যে শুরু হয়েছে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ। এই বিষয়েও মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, "এখনও পর্যন্ত রাজ্যের ১.৪ কোটি লোককে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। তবে ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা বেশি অগ্রাধিকার দিচ্ছি গরিব মানুষ, যাঁরা কাজের মধ্যে থাকে তাঁদের। যেমন- অটো-টোটোচালক, রিক্সাওয়ালা, ট্যাক্সিচালক, বাস ড্রাইভার-কন্ডাক্টর, সবজি বিক্রেতা, মাছ বিক্রেতা, ডাক্তার, নার্স, পুলিশকেই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এখনও পর্যন্ত এই সমস্ত পেশার সঙ্গে যুক্ত মানুষ এবং সংবাদমাধ্যম মিলিয়ে ১ কোটি ৪০ লক্ষ লোককে করোনার টিকা দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আগামিদিনেও যত টিকা পাব, সেগুলিও দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। তবে এখনও পর্যন্ত করোনা ভ্যাকসিনেশনে বাংলা কিন্তু এক নম্বরে।" এরপরই ফের কেন্দ্রকে তিন কোটি ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য আবেদনও জানান তিনি।
বাড়ল কার্যত লকডাউনের সময়সীমা
আগামী ৩০ মে প্রথম দফার লকডাউন বা কড়া বিধিনিষেধ শেষ হওয়ার কথা রাজ্যে। তার আগে বৃহস্পতিবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যে কড়া বিধিনিষেধের সময়সীমা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। ১৫ জুন পর্যন্ত রাজ্যে বহাল থাকবে কড়া বিধিনিষেধ। কেবল জুট শিল্পে কর্মীদের উপস্থিতি ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আর কোনওক্ষেত্রে কোনও ছাড় ঘোষণা করা হয়নি। সবটাই বহাল থাকবে। নির্মাণ শিল্পের ক্ষেত্রে কাজ করানো যেতে পারে তবে শ্রমিকদের টিকাকরণ করিয়ে নিতে হবে।
করোনা নিয়ন্ত্রণে লকডাউন
ইদের পরেই রাজ্যে লকডাউন ঘোষণা করে রাজ্য সরকার। লোকাল ট্রেন, মেট্রো পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। দোকান বাজার খোলার সময়সীমাও বেধে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ রয়েছে সবরকম গণপরিবহণ। কেবল মাত্র মেডিকেল ট্যাক্সি চলাচল করতে পারবে। সব রকম জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে।