শুধু করোনা টিকাকরণ, প্রথমদিনই ভ্যাকসিন নিয়ে বিতর্ক বাঁধালেন তৃণমূল জনপ্রতিনিধিরা
শনিবার সকাল থেকেই গোটা দেশের পাশাপাশি রাজ্যেও শুরু হয়েছে 'কোভিশিল্ড' এর করোনা টিকাকরণ। কেন্দ্রের নির্দেশ অনুযায়ী প্রথমে টিকা দেওয়া হবে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ও প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে জানিয়েছেন কোনও রাজনীতিবিদকে প্রথমে টিকা দেওয়া হবে না।
কিন্তু এরাজ্যে প্রথম দিনই এই নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটল। অভিযোগ, নিয়ম অমান্য করে এদিন সকালে করোনা টিকা নেন কাটোয়ার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, স্থানীয় হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সঙ্গে যুক্ত থাকার সুবাদেই তিনি এই টিকা পেয়েছেন। টিকা নিয়েছেন বাগদার বিডিও জ্যোতিপ্রকাশ হালদারও। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
এছাড়াও এদিন টিকা নেন বর্ধমানের ভাতারের বর্তমান তৃণমূল বিধায়ক সুভাষ মণ্ডল ও প্রাক্তন বিধায়ক বনমালী হাজরা। হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সঙ্গে যুক্ত থাকার সুবাদেই তাঁরা টিকা পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের পাশাপাশি এদিন ভাতার স্টেট জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে করোনা টিকা নেন ভাতারের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সংঘমিত্রা ভৌমিক, পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের বিদ্যুৎ কর্মাধক্ষ জহর বাগদি প্রমুখ।
এদিন আলিপুরদুয়ারেও টিকাকরণের তালিকায় একদম প্রথমে নাম ছিল তৃণমূল বিধায়ক তথা জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তীর। জেলা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হওয়াতেই তাঁর নাম তালিকায় ছিল বলে জানা গিয়েছে। যদিও বিতর্কের মধ্যে পড়ে শেষপর্যন্ত আর টিকা নেননি সৌরভ। তবে স্বাস্থ্য কর্মীদের পাশাপাশি করোনা ভ্যাকসিন নিলেন ব্যারাকপুরের পৌর প্রশাসক উত্তম দাসও।