বাংলা জুড়ে করোনার ভ্যাকসিনের আকাল! সরকারি কিংবা বেসরকারি হাসপাতাল জুড়ে শুধুই হাহাকার
প্রত্যেকদিনই বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। গত ২৪ ঘন্টায় দেশে প্রায় ৪ লক্ষের কাছাকাছি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। বাংলাতেও সংক্রমণের হার ভয়ঙ্কর। গত ২৪ ঘন্টায় প্রায় ১৭ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
প্রত্যেকদিনই বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। গত ২৪ ঘন্টায় দেশে প্রায় ৪ লক্ষের কাছাকাছি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। বাংলাতেও সংক্রমণের হার ভয়ঙ্কর। গত ২৪ ঘন্টায় প্রায় ১৭ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
চিকিৎসকদের একাংশের মতে, ভোট বাংলায় বাংলায় করোনার গোষ্ঠী সংক্রমণ ঘটে গিয়েছে। এই অবস্থায় দেশজুড়ে প্রাপ্ত বয়স্ক হলেই মিলবে করোনার ভ্যাকসিন। এমনটাই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। আগামীকাল শনিবার থেকেই শুরু হচ্ছে সেই ভ্যাকসিনেশনে কাজ। কিন্তু তা নিয়েই বিপত্তি!
বাংলায় ভ্যাকসিনের আকাল
প্রাপ্ত বয়স্ক হলেই মিলবে ভ্যাকসিন। শনিবার থেকেই শুরু হচ্ছে সেই কাজ। কিন্তু চূড়ান্ত ভ্যাকসিনের আকাল। সরকারি তো বটেই, বেসরকারি বহু হাসপাতালেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ। যেমন সল্টলেক আমরিতে শুক্রবার সকাল থেকেই ভ্যাকসিনের আকাল তৈরি হয়েছে। সেখানে নিয়ে ভ্যাকসিন। এমনটাই জানাচ্ছেন হাসপাতাল প্রশাসন। ভোর থেকে অপেক্ষার পর চূড়ান্ত হয়রানি হতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। একই ছবি শহরের একাধিক বেসরকারি হাসপাতালেও। ভ্যাকসিনের আকাল খোদ বেলেঘাটা আইডিতেও। সেখানেও ভ্যাকসিন নেই বলেই খবর।
বাগবাজারের স্টোরেও ভ্যাকসিনের আকাল
বাগবাজারে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের স্টোরেও ভ্যাকসিনের একটা আকাল তৈরি হিয়েছে। গত ২৪ ঘন্টা আগে কোভিশিল্ডের ৪ লক্ষ ডোজ বাংলাতে আসলেও ইতিমধ্যে কলকাতা সহ গোটা জেলাতে তা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যেই কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রাপ্ত বয়স্ক হলেই ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হচ্ছে। শনিবার থেকেই তা শুরু হচ্ছে। এমনিতেই চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। এর মধ্যে শনিবার থেকে আরও ভিড় বাড়বে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। সেখানে কীভাবে তা সামাল দেওয়া সম্ভব হবে তা নিয়ে শুরু হয়েছে ধোঁয়াশা।
সকাল থেকে লম্বা লাইন
ভ্যাকসিনের আকাল। কেউ মাঝ রাত তো কেউ আবার সকাল থেকে লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। কিন্তু তাতেও খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে। কার্যত কলকাতা হোক কিংবা জেলার স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে এখন এমনটাই ছবি। তবে আতংকের বিষয় এই যে যেভাবে স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্যে ভিড় বাড়ছে তাতে সংক্রমণের আশঙ্কা মারাত্মক। মানা হচ্ছে না কোনও সোশ্যাল ডিসটেন্স। এমনকি অনেকেই মাস্কও পড়ছেন না। এমনটাই অভিযোগ।
১০ লক্ষ ভ্যাকসিনের ডোজ এসেছে কলকাতায়
গত ২৪ ঘন্টা আগেই কলকাতায় এসেছে কোভিশিল্ডের আরও ১০ লক্ষ ডোজ৷ এই ১০ লক্ষ ডোজের মধ্যে ৪ লক্ষ ডোজ পেয়েছে রাজ্য৷ বাকি ৬ লক্ষ ডোজ ছিল হেস্টিংসের সেন্ট্রাল স্টোরে। সেগুলিকে পাঠানো হচ্ছে অন্যান্য রাজ্যে৷ বেসরকারি হাসপাতালে এখন দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় প্রায় ১ লক্ষ মানুষ। ১ লক্ষ মানুষকে সেকেন্ড ডোজ ভ্যাকসিন দিতে সাহায্য করা হবে। সেকেন্ড ডোজ দিতে সাহায্য করা হবে বেসরকারি হাসপাতালকে। এই অবস্থায় শুরু হচ্ছে তৃতীয় পর্যায়ের ভ্যাকসিনের কাজ। কীভাবে তা সম্ভব সেটাই ভাবাচ্ছে স্বাস্থ্য আধিকারিকদের।
৩ কোটি ভ্যাকসিন চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি
কেন্দ্রের কাছে আরও ৩ কোটি ভ্যাকসিন চাইল রাজ্য। দেড় কোটি রাজ্যবাসীর জন্য ৩ কোটি ভ্যাকসিন চেয়ে চিঠি দিল রাজ্য সরকার। সরকারি হাসপাতালের জন্য ২ কোটি ভ্যাকসিনের আবেদন। বেসরকারি হাসপাতালের জন্য ১ কোটি ভ্যাকসিনের আবেদন করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য সরকার জানিয়েছে, সরকারি হাসপাতালের ভ্যাকসিন সঙ্কটও দ্রুত মেটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। দ্রুত ভ্যাকসিন সরবরাহ করে পরিস্থিতি স্বাভাবিকের চেষ্টা করা হচ্ছে বলা হয়েছে ওই বিজ্ঞপ্তিতে। ১ মে থেকে শুরু হচ্ছে তৃতীয় দফার টিকাকরণ। তার জন্য আগাম প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হচ্ছে। রাজ্য জানিয়েছে, ভ্যাকসিন নিয়ে উৎপাদনকারী সংস্থার সঙ্গেও কথা বলা হবে। কিন্তু এখনও তেমন আশার আলো দেখা যাচ্ছে না।