করোনা ভাইরাসের ৮৫ শতাংশ সংক্রমণ শুধু ১০ রাজ্যে, উদ্বেগ ওড়াল কেন্দ্র
দেশের সামগ্রিক করোনা পরিস্থিতি স্থিতিশীল হচ্ছে এবং সরকার আরও স্থিতিশীলকরণের লক্ষ্যে কাজ করবে। এনআইটিআই-এর সদস্য ভি কে পল শনিবার এ কথা বলেছেন। শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে শীর্ষ স্বাস্থ্য আধিকারিকরাও দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আশার বাণী শোনান। সমগ্র ভারতে করোনা ছড়ায়নি বলেই তাঁদের অভিমত।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক মনে করছে, মোট করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ৮৫ শতাংশই দশটি রাজ্যের। বাকি রাজ্যে মাত্র ১৫ শতাংশ সংক্রমণ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, ১১টি রাজ্যে এক লক্ষেরও বেশি সক্রিয় করোনা আক্রান্ত রয়েছে, ১৭টিতে ৫০,০০০ এরও কম করোনা সক্রিয় রয়েছে এবং আটটিতে সক্রিয় ৫০,০০০ থেকে এক লাখের মধ্যে রয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট এবং ছত্তিশগড়ে প্রচুর পরিমাণে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রেকর্ড করা হয়েছে। তারা সক্রিয়ের সংখ্যা হ্রাসের কথাও জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চব্বিশটি রাজ্যের করোনার পজিটিভিটি হার ১৫ শতাংশেরও বেশি। দিল্লি, ছত্তিশগড়, দমন এবং দিউ, হরিয়ানা ও মধ্যৃপ্রদেশের ক্ষেত্রে ইতিবাচক হার যথেষ্ট হ্রাস পেয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, শনিবার ভারতে একদিনে ৩,২৬,০৯৮ জন করোনা সংক্রমিত হয়েছে। মোট করোনা আক্রান্ত ২,৪৩,৭২,৯০৭ হয়েছে এবং ৩,৮৯০ জনের প্রাণহানি হয়েছে একদিনে। মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২,৬৬,২০৭ জন হয়েছে। সক্রিয়ের সংখ্যা হ্রাস পেয়ে হয়েছে ৩৬,৭৩,৮০২ এবং মোট টেস্টিংয়ের ১৭.০৭ শতাংশ আক্রান্ত হচ্ছে। আর করোনা থেকে পুনরুদ্ধারের হার ৮৩.৮৩ শতাংশ হয়েছে বেড়ে।
কেন্দ্রের ব্যাখ্যা, "এটা স্পষ্ট যে আমরা মহামারীটির দ্বিতীয় তরঙ্গে স্থিতিশীলতার একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ দেখতে পাচ্ছি। কিছু রাজ্য একটি সুস্পষ্ট ছবি দেখিয়েছে, কিছু রাজ্যে উদ্বেগ রয়েছে এবং কিছু কিছুতে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। এটি একটি মিশ্র ছবি। তবে সামগ্রিকভাবে, পরিস্থিতি স্থিতিশীল হচ্ছে এবং আমরা আশা করি করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা দ্রুত হ্রাস নিশ্চিত করতে পারব।