টানা বর্ষণে বিপর্যস্ত কোচবিহারের বিস্তীর্ণ এলাকা
গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণে বিপর্যস্ত কোচবিহারের বিস্তীর্ণ এলাকা। পাশাপাশি প্রবল বৃষ্টির জেরে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বেশ কিছু বাড়িঘর।
গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণে বিপর্যস্ত কোচবিহারের বিস্তীর্ণ এলাকা। পাশাপাশি প্রবল বৃষ্টির জেরে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বেশ কিছু বাড়িঘর। এছাড়াও টানা বর্ষণের কারনে মেখলিগঞ্জের সীমান্ত ঘেঁষা গ্রাম কলসি বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে পাকা সেতু ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে।
মেখলিগঞ্জের কুচলিবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এই প্রত্যন্ত গ্রামটি। ওই এলাকা দিয়ে বয়ে গিয়েছে নদী। কিন্তু, সেই কলসিগ্রামের সঙ্গে কুচলিবাড়ি গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার সংযোগকারী একমাত্র পাকা সেতু ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে প্রায় ১২ হাজার মানুষ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে কোচবিহারের প্রশাসনিক এলাকায়।
এদিন ওই ভগ্ন সেতু পরিদর্শনে আসেন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান এবং জেলা পরিষদ সদস্যরা। এছাড়াও কলসিগ্রামের অসহায় ওই মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন, জেলা পরিষদ সদস্যা ফুলতি রায়৷ উল্লেখযোগ্যভাবে যে গ্রামটি দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা ঘাট ও যোগাযোগ ব্যবস্থার দিক থেকে পিছিয়ে পড়েছিল এবং যোগাযোগের একমাত্র সেতুটাও আজ তারা প্রবল বর্ষণের কারণে হারিয়ে ফেলল।
ফলে আজ চরম বিপাকের মধ্যে রয়েছে হাজার হাজার মানুষ।
এই বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, একাধিকবার আমরা সেতু সংস্কার করার আবেদন জানিয়েছি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। কেউ পাশে এসে দাঁড়ায়নি। তাই আজ আমরা বিছিন্ন হয়ে গেলাম কোচবিহারের মূল এলাকা থেকে।
এই প্রসঙ্গে জেলা পরিষদ সদস্যা ফুলতি রায় বলেন, আমি সেতুর পরিদর্শন করে দেখলাম, আপাতত যাতায়াতের চলাচলের জন্য বাঁশ দিয়ে কোনক্রমে একটি সেতু তৈরি করা হয়েছে। আমি বিষয়টি জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েছি। দ্রুত এই অবস্থার থেকে সংস্কারের চেষ্টা করছি ৷