দল ও সরকারকে বাঁচাতে এইভাবেই মোদীকে তুষ্ট করার চেষ্টা করছেন মমতা, অভিযোগ বিরোধীদের
তৃণমূল নেত্রী বিজেপির সঙ্গে সখ্য রক্ষার প্রচেষ্টা করছেন। এমনটাই অভিযোগ রাজ্যের বাম ও কংগ্রেসের। বিধানসভা ভবনে পুষ্প প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে,গীতাপাঠ সেই প্রচেষ্টারই অন্যতম অঙ্গ বলে অভিযোগ বিরোদীদের।
তৃণমূল নেত্রী বিজেপির সঙ্গে সখ্য রক্ষার প্রচেষ্টা করছেন। অন্তত এমনটাই অভিযোগ রাজ্যের বাম ও কংগ্রেসের। বিধানসভা ভবনে পুষ্প প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে, গীতাপাঠ সেই প্রচেষ্টারই অন্যতম অঙ্গ বলে অভিযোগ বিরোধীদের।
সরকারি অনুষ্ঠানে গীতাপাঠ ঘিরে রাজ্যে নয়া বিতর্ক। সেই বিতর্কই বিজেপি ও তৃণমূলের নতুন করে সম্পর্কস্থাপনের উপায় বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে সরকার পক্ষ।
ডিসেম্বরে বিধানসভা ভবনে পুষ্প প্রদর্শনীর রেওয়াজ বহু দিনের। কিন্তু সেই অনুষ্ঠানে গীতাপাঠে আসর এই প্রথন। শুক্রবার বিধানসভা ভবনে এই পুষ্প প্রদর্শনীর সূচনা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল, বিধানসভার স্পিকার ছাড়াও পরিষদীয়মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান এবং বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী উপস্থিত ছিলেন।
গীতা
ও
উপনিষদের
নির্বাচিত
কিছু
অংশ
দিয়ে
পুষ্পপ্রদর্শনীর
উদ্বোধনী
অনুষ্ঠান
শুরু
হয়।
বরাহনগর
রামকৃষ্ণ
সারদা
মিশনের
ছাত্রীরা
এই
পাঠে
অংশ
নেন।
অনুষ্ঠান
শেষে
বিষয়টি
নিয়ে
ক্ষোভপ্রকাশ
করেন
বিধায়ক
সুজন
চক্রবর্তী।
সূত্রের
খবর,
সুজন
চক্রবর্তী
পার্থ
চট্টোপাধ্যায়কে
বিষয়টি
নিয়ে
প্রশ্ন
করলে,
পরিষদীয়
মন্ত্রী
জানান,
বিষয়টি
নিয়ে
তাঁর
কিছু
জানা
নেই।
সুজন
চক্রবর্তী
কটাক্ষ
করে
বলেন,
শাসক
পক্ষ
কি
দিল্লিকে
বার্তা
দিতে
চাইছে,
আমরাও
তোমাদের
পথে
এগোচ্ছি।
বিরোধী
দলনেতা
আব্দুল
মান্নান
সরকারি
অনুষ্ঠানে
গীতাপাঠ
নিয়ে
অন্যায়ের
কিছু
না
দেখলেও,
বিষয়টি
নিয়ে
মানুষ
সন্দেহ
করছেন
বলে
মন্তব্য
করেছেন।
তিনি
বলেন,
তৃণমূল
নেত্রী
ইদানীং
যে
আচরণ
করছেন,
তা
বিজেপির
সঙ্গে
সখ্য
রক্ষার
প্রচেষ্টা
মাত্র।
আব্দুল
মান্নান
জানান,
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়
গুজরাতে
কংগ্রেসের
সাফল্যের
পরেও
কোনও
বার্তা
দেননি।
এমন
কী
রাহুল
গান্ধী
কংগ্রেস
সভাপতি
হওয়ার
পরেও
তাঁকে
অভিনন্দন
জানাননি।
টুজি
কেলেঙ্কারি
নিয়েও
আদালতের
রায়ে
নীরব
থেকেছেন।
সারদা-নারদার
মতো
অভিযোগ
থেকে
দল
ও
নেতাদের
বাঁচাতেই
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ের
এই
পদক্ষেপ
কিনা
তা
নিয়ে
প্রশ্ন
তুলেছেন
আব্দুল
মান্নান।
স্পিকার বিষয়টি উড়িয়ে দিলেও, সুজন চক্রবর্তী বলেন, এরপর সরকারি অনুষ্ঠানে কোরান কিংবা বাইবেল পাঠের দাবি উঠলে তা মানতে হবে কিনা, সেই প্রশ্নও তুলেছেন।
তবে রাজ্যপাল কিংবা রাজ্য বিজেপি সভাপতি সরকারি অনুষ্ঠানের শুরুতে গীতা পাঠের মধ্যে অন্যায়ের কিছু দেখছেন না।