মুর্শিদাবাদে দুর্ঘটনাগ্রস্ত সরকারি বাসের 'দখলদারি' ঘিরে বিতর্ক
উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণের নামে বাস চললেও, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসের দখলদারি নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। বাসটির পরিচালনার ভার সরাসরি রাজ্য সরকারের পরিবহণ দফতরের হাতে ছিল না বলেই উঠছে অভিযোগ।
উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণের নামে বাস চললেও, দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসের দখলদারি নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। বাসটির পরিচালনার ভার সরাসরি রাজ্য সরকারের পরিবহণ দফতরের হাতে ছিল না বলেই উঠছে অভিযোগ।
সোমবার সাতসকালে মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা। এরপর উদ্ধার কাজ দেরিতে শুরু হওয়ার অভিযোগে সরকারি বাসে ভাঙচুর-আগুন। মুখ্যমন্ত্রী ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর উদ্ধার কাজে গতি আসা। সব কিছুইকেই মনে হয় ছাপিয়ে গেল সরকারি বাসের দখলদারি নিয়ে বিতর্ক ওঠায়।
সূত্রের খবর, বহরমপুর পুরসভা তৃণমূলের দখলে আসার পর ২০১৭-র জানুয়ারিতে পরিবহণ দফতরের কাছ থেকে দুটি বাস পেয়েছিল পুরসভা। এনবিএসটিসির কাছ থেকেই বাস দুটি পায় বহরমপুর পুরসভা। বাস চালানো নিয়ে বহরমপুর পুরসভার সঙ্গে এনবিএসটিসির চুক্তিও হয়। তবে বাস চালানো এবং রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নিজেদের হাতে না রেখে বহরমপুরের একটি বেসরকারি সংস্থার হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় পুরসভার তরফে। একটি বাস চলত রানিনগর থেকে কলকাতা। অপরটি করিমপুর থেকে মালদহ। প্রথমটির জন্য মাসে ২২ হাজার টাকা এবং দ্বিতীয় বাসটির জন্য মাসে ১৯ হাজার টাকা দিত সংস্থাটি।
সূত্রের খবর, ৫ মাস আগেই শেষ হয়ে গিয়েছে বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে পুরসভার চুক্তির মেয়াদ। অভিযোগ, উত্তরবঙ্গ পরিবহণের এক পদস্থ কর্তার সঙ্গে যোগসাজসেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরবর্তী সময়ে বাস দুটি চালাচ্ছিল বহরমপুরের ওই বেসরকারি সংস্থা। যার মধ্যে করিমপুরের বাসটি সোমবার দুর্ঘটনায় পড়ে।
বাসের পরিচালনার ভার নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করায় নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। বহরমপুর পুরসভার কাছে চুক্তিপত্র চেয়ে পাঠিয়েছেন জেলাশাসক।