'হানাদার' ওড়িশা সরকার! দিঘার কাছে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল রাজ্যের হোর্ডিং
ঝাড়খন্ডের সঙ্গে ম্যাসাঞ্জোরের সীমানা নিয়ে গণ্ডগোলের পর এবার ওড়িশা সীমানার উদয়পুর নিয়ে গণ্ডগোল। এদিন ওড়িশার প্রশাসনের তরফে সেচ দফতরের ফলক বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়।
ঝাড়খন্ডের সঙ্গে ম্যাসাঞ্জোরের সীমানা নিয়ে গণ্ডগোলের পর এবার ওড়িশা সীমানার উদয়পুর নিয়ে গণ্ডগোল। এদিন ওড়িশার প্রশাসনের তরফে সেচ দফতরের ফলক বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে ওড়িশা সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা মেটানো হবে বলে জানিয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন।
উদয়পুর কার এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ঝামেলা চলছে বাংলা ও ওড়িশার পুলিশ ও প্রশাসনের মধ্যে। বিশেষ করে দিঘা থেকে চন্দনেশ্বর যাওয়ার রাস্তা নিয়েই ঝামেলা। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার বৈঠক হলেও এখনও পর্যন্ত কোনও সমাধান সূত্রে মেলেনি।
মঙ্গলবার সকালে কমব্যাট ফোর্স ও পুলিশ বাহিনী নিয়ে এসে উদয়পুর এলাকার রাস্তার পাশে থাকা পশ্চিমবঙ্গের সরকারি একটি ফলক ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় ওড়িশার স্থানীয় প্রশাসন।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। খবর পেয়ে দিঘার প্রশাসন ও পুলিশ বাধা দিতে গেলে দু পক্ষের মধ্যে শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি। ওড়িশার পুলিশ ফোর্স তেড়ে যায় দিঘা পুলিশের দিকে। তবে পুলিশ সংখ্যায় কম থাকায় পিছু হটে দিঘা থানা।
এর আগে একই ভাবে গায়ের জোরে উদয়পুরের রাস্তা ও সমুদ্র সৈকত গায়ের জোরে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে ওড়িশা প্রশাসনের বিরুদ্ধে। তাঁদের দাবি, ওই এলাকা ওড়িশার অন্তর্গত। এই নিয়ে একাধিকবার জেলা শাসক স্তরে বৈঠক হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী স্তরেও আলোচনা হয়েছে একাধিকবার। কিন্তু সমস্যা মেটেনি।
এদিন একেবারে তৈরি হয়ে আসে ওড়িশা প্রশাসন। তাঁরা কোনও মূল্যেই সীমান্ত এলাকার দখল ছাড়তে রাজি নয় বলে সাফ জানিয়ে দেয়। যদিও মূলতঃ দিঘা থেকে আগত পর্যটকরাই উদয়পুরে বেড়াতে যান। সেখান অনেক টাকা খরচ করে রাস্তা বানিয়েছে ওড়িশা সরকার।
স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরি জানিয়েছেন, তিনি বিষয়টি নিয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলেছেন। ওড়িশা সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে সমাস্যার সমাধান করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে প্রশাসনিক মহলে।