নির্বাচন কমিশনের গাড়িতে বিজেপির পতাকা উড়ছে, গোপন আঁতাতের অভিযোগে তরজা
গাড়ি নির্বাচন কমিশনের, তাতে লেখা রয়েছে ‘অন ইলেকশন ডিউটি’। সেই গাড়িতেই আবার পতপত করে উড়ছে বিজেপির পতাকা। এ ছবি সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে রাজনৈতিক মহলে।
গাড়ি নির্বাচন কমিশনের, তাতে লেখা রয়েছে 'অন ইলেকশন ডিউটি'। সেই গাড়িতেই আবার পতপত করে উড়ছে বিজেপির পতাকা। এ ছবি সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে রাজনৈতিক মহলে। আর অকুস্থল সেই আসানসোলই, যে আসানসোলে বিজেপি প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়কে মঙ্গলবার নিজে হাতে 'চৌকিদার চোর হ্যায়' পোস্টার ছিঁড়ে আগুন লাগাতে দেখা গিয়েছিল।
অভিযোগ, ইলেকশন কমিশনের গাড়িতে শুধু বিজেপির পতাকাই নয়, বিজেপিকর্মীরাও ছিল গাড়ির ভিতরে। একজনের গায়ে ছিল আবার বিজেপির উত্তরীয়। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার মুখে পড়েই তাঁরা গাড়ির ভিতরে মুখে লুকনোর চেষ্টা করে। গাড়ি থেকে 'অন ইলেকশন ডিউটি' লেখা স্টিকারটিও ছিঁড়ে ফেলা হয়।
এই ঘটনার সামনে আসার পরই তা নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে। কী করে ইলেকশন কমিশনের গাড়িতে বিজেপির পতাকা সেঁটে কর্মীরা ঘুরে-বেড়ায় তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে পড়েছে। ফের একবার এই ঘটনায় বিজেপির সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের আঁতাতের রয়েছে বলেই সরব হয়েছে তৃণমূল।
উল্লেখ্য, একদিন আগেই কোচবিহারের পুলিশ সুপারকে অপসারিত হতে হয়েছিল। অভিযোগ, মুকুল রায় দুদিন আগে প্রধানমন্ত্রীর মঞ্চে দাঁড়িয়ে ওই এসপির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন। বলেছিলেন, আমি অন্তত ১০ বছর রাজনীতিতে থাকব, দেখব অভিষেক গুপ্তা, আপনি কী করে এসপি থাকেন। তারপরই তাঁকে অপসারিত করা হয়। এই ঘটনাতেও বিজেপি-নির্বাচন কমিশন আঁতাতের অভিযোগ ওঠে।
এদিন ফের ইলেকশন কমিশনের গাড়িতে বিজেপির পতাকা ও কর্মীদের উপস্থিতি নিয়েও গোপন আঁতাতের অভিযোগ ওঠে। এ প্রসঙ্গে আসানসোলের নির্বাচনী আধিকারিক অরিন্দম রায় বলেন, পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। বিজেপি এর মধ্যে চক্রান্তের গন্ধ পাচ্ছে।