সংক্রমণ বাড়তেই বাংলায় ফিরছে কনটেনমেটন্ট জোন, নাইট কার্ফুতে জোর! নিয়ম ভাঙায় গ্রেফতার শতাধিক
করোনা ভাইরাসের দৈনিক সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। পুজোর শেষ হতে না হতেই ১০০০ ছুঁই ছুঁই করোনার সংক্রমণ। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত, সেইসঙ্গে তালমিলিয়ে বাড়ছে সক্রিয়ের সংখ্যাও। উদ্বেগ বাড়িয়ে উৎসবের মাঝপথে করোনা সংক্রম
করোনা ভাইরাসের দৈনিক সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। পুজোর শেষ হতে না হতেই ১০০০ ছুঁই ছুঁই করোনার সংক্রমণ। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্ত, সেইসঙ্গে তালমিলিয়ে বাড়ছে সক্রিয়ের সংখ্যাও। উদ্বেগ বাড়িয়ে উৎসবের মাঝপথে করোনা সংক্রমণ ফের ঊর্ধ্বমুখী বাংলায়।
করোনার টেস্ট বাড়াতেই করোনায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় হাঁজারের কাছে পৌঁছে গেল। কার্জত প্রত্যেকদিনই বাড়ছে সংক্রমণ। আর এই অবস্থায় রীতিমত উদ্বিগ্ন রাজ্য প্রশাসন। আর এই উদ্বেগ সামনে আসার পরেই নড়েচড়ে বসেছে নবান্ন। একগুচ্ছ ব্যবস্থা নেওয়া হলেও আরও কড়া রাস্তায় সরকার হাঁটতে পারে বলেও খবর।
জরুরি বৈঠকে মুখ্যসচিব
এভাবে সংক্রমণ বাড়তে থাকায় সন্ধ্যাতেই জরুরি বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব। রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসকদের সঙ্গে এই বৈঠক হয়। আর সেই বৈঠকে সমস্ত জেলার জেলাশাসকদের ময়দানে নামার কার্জত নির্দেশ নবান্নের। জানা গিয়েছে, ওই বৈঠকে কোভিড বিধিনিষেধ কঠোরভাবে প্রয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কার্ফুতে কোনও ছাড় দেওয়া যাবে না, নির্দেশ দেওয়া হয় প্রশাসন। আর সেই নির্দেশ পাওয়া মাত্র ধরপাকড় শুরু হয়। শনিবার রাত থেকেই কলকাতা সহ জেলার সর্বত্র নাকা চেকিং শুরু হয়েছে।
শহরের রাস্তায় নাকাচেকিং
শনিবার এই নির্দেশ সামণে আসার পর থেকেই সক্রিয় প্রশাসন। করোনা ঠেকাতে ময়দাণে পুলিশ। নবান্নের কড়া নির্দেশের পরেই বিভিন্ন জায়গাতে নাকা চেকিং করা হয়েছে। রাত ১১ টার পরেই রাস্তায় থাকলেই ধরা হচ্ছে। কেন- কি কারনে রাস্তায় সেই সগক্রান্ত সঠিক তথ্য না দিতে পারলেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মাস্ক বাধ্যতামমূলক করা হয়েছ। সেই সংক্রান্ত অভিযান চালানো হয়েছে। মাস্ক না পরায় উত্তরপাড়া, ডানকুনি থেকে গ্রেফতার হলেন প্রায় শতাধিক।
ফিরছে কনটেণমেন্ট
সংক্রম্ন বাড়তেই রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে উঠছে প্রশ্ন। পুজোর সময়ে যে ভাবে কোভিড বিধিকে হালকা করা হয়েছে তাতেই সংক্রমণ ক্রমশ উপরের দিকে যাচ্ছে। এই অবস্থায় জরুরি বিথকে নবান্ন। সংক্রমণে রাশ টানতে ফের কনটেনমেন্ট জোন ফেরানোর নির্দেশ দিল নবান্ন। বিভিন্ন এলাকাতে জোন করার নির্দেশ। পাশপাশি পজিটিভ রোগীদের চিহ্নিত করার কাজে জোর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ভ্যাকসিনের গতি বাড়ানোর নিরদশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলার করোনা পরিসংখ্যান
স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, বিগত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৯৭৪। মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ লক্ষ ৮৫ হাজার ৪৬৬ জন। রাজ্যে করোনা সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯০৪৫। এদিন মৃত্যু হয়েছে ১২ জনের। এদিন করোনার দৈনিক সংক্রমণের হার কমে ২.২৬ হয়েছে।