কংগ্রেস কোন পথে চলবে, বাংলায় নতুন সমীকরণের রূপরেখা তৈরিতে উদ্যোগী অধীর চৌধুরী
বাংলার রাজনীতিতে কংগ্রেসের কী অবস্থান হবে? তারা বামেদের সঙ্গে করেই বাংলায় একযোগে তৃণমূল ও বিজেপির বিরোধিতা করবে, নাকি অন্য কোনও সমীকরণ তৈরি হবে রাজ্যে, তা নিয়েই সিদ্ধান্তে পৌঁছতে চাইছেন অধীর।
বাংলার রাজনীতিতে কংগ্রেসের কী অবস্থান হবে? তারা বামেদের সঙ্গে করেই বাংলায় একযোগে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির বিরোধিতা করবে, নাকি অন্য কোনও সমীকরণ তৈরি হবে রাজ্যে, তা নিয়েই সিদ্ধান্তে পৌঁছতে চাইছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। শুক্র ও শনিবার দুদিনের কর্মসূচির মধ্যেইই অধীর ঠিক করে ফেলতে চাইছেন কংগ্রেসের অবস্থান।
কংগ্রেস নতুন সমীকরণ মেনে পথ চলা শুরু করবে
অধীর দলের রাজনৈতিক অবস্থান স্থির করতে প্রদেশের পাঁচ নেতার সঙ্গে বৈঠকে বসতে চাইছেন। এই বৈঠকের নির্যাস থেকেই রাজ্যে কংগ্রেস নতুন সমীকরণ মেনে পথ চলা শুরু করবে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি স্থির করেছেন, তিনি বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান, সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য, মুখ্য সচেতক মনোজ চক্রবর্তী, পরিষদীয় উপ-দলনেতা নেপাল মাহাতো এবং উত্তরবঙ্গের শঙ্কর মালাকারের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।
বামেদের সঙ্গে যৌথ কর্মসূচি, নাকি অন্য সমীকরণ
বামেদের সঙ্গে যৌথ কর্মসূচি ও জোটের আসন ভাগাভাগির নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের নেতারা কী ভাবছেন, তা জেনেই একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হতে চান অধীর। তার একটা স্বচ্ছ রূপরেখা তৈরি করেই কংগ্রেস ময়দানে নামবে। সোমেন মিত্রের প্রয়াণের পর ১০ সেপ্টেম্বর অধীর চৌধুরী দায়িত্ব নেন। তারপর একমাস কেটে গিয়েছে, লোকসভায় ব্যস্ত থাকায় প্রদেশে কংগ্রেসের বৈঠক করতে পারেননি অধীর।
কংগ্রেসের অবস্থান স্থির করতে বৈঠকে অধীর চৌধুরী
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে পুনরায় দায়িত্ব নেওয়ার পর অধীর চৌধুরী এই প্রথম বসতে চলেছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে। এই বৈঠক থেকে অধীর চৌধুরী কংগ্রেসের অবস্থান স্থির করে ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছেন ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের লড়াইয়ে। শুধু বৈঠকই নয়, তিনি বিধানভবন থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত বৈঠকও করবেন।
একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলতে চাইছে কংগ্রেস
এখন বামেরা কংগ্রেসের পথ চেয়ে বসে আছে। সোমেন মিত্র থাকাকালীন কংগ্রেসের সঙ্গে যৌথ পথচলা বা জোট নিয়ে অনেকদূর এগিয়েছিল কংগ্রেস। এখন অধীর চৌধুরী দায়িত্ব আসার পর কংগ্রেস কী করবে, তা পরিস্ফুট নয়। অধীরও চাইছেন না আর দেরি করতে। তাই মান্নান-প্রদীপদের সঙ্গে আলোচনা করে একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলতে চাইছে কংগ্রেস।