কংগ্রেসের একটা সিদ্ধান্তেই বাজিমাত! উপনির্বাচনে নয়া জোটের চ্যালেঞ্জের মুখে বিজেপি
বিগত নির্বাচনে ত্রিপুরার লালদুর্গে ফাটল ধরিয়ে গেরুয়া-রাজ শুরু হয়েছিল। কংগ্রেস চলে গিয়েছিল ব্যাকফুটে। আসন্ন ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনের আগে কিন্তু ভিতরে ভিতরে কংগ্রেস নিজেকে গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
বিগত নির্বাচনে ত্রিপুরার লালদুর্গে ফাটল ধরিয়ে গেরুয়া-রাজ শুরু হয়েছিল। কংগ্রেস চলে গিয়েছিল ব্যাকফুটে। আসন্ন ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনের আগে কিন্তু ভিতরে ভিতরে কংগ্রেস নিজেকে গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। সেই মিশনেই কংগ্রেস আসন্ন উপনির্বাচনের আগে বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে নিল। যার জেরে কংগ্রেসই চলে এল বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানানোর জায়গায়।
একটা সিদ্ধান্তেই ত্রিপুরা রাজনীতি ফের প্রাণ ফিরে পেল কংগ্রেস। ত্রিপুরায় ক্রমশ অপ্রাসঙ্গিক হতে বসা কংগ্রেসের কৌশলী সিদ্ধান্ত আবার রাজ্য রাজনীতিকে আন্দোলিত করে দিল। বিজেপির কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিল কংগ্রেস। তৃণমূল বা সিপিএম নয়, ত্রিপুরার আসন্ন উপনির্বাচনে কংগ্রেস-জোটের সঙ্গেই সম্মুখ সমরে অবতীর্ণ হতে হবে।
কংগ্রেসের এই সিদ্ধান্ত শুধু শাসক বিজেপিকেই নয়, চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে প্রধান বিরোধী দল সিপিএম এবং সম্প্রতি ত্রিপুরার মাটিতে পা রাখা তৃণমূলের কপালেও। তারাও অঙ্ক কষা শুরু করে দিয়েছে কংগ্রেসের নেওয়া ওই পদক্ষেপে। আগামী ২৩ জুন ত্রিপুরার উপনির্বাচন, তার আগে ত্রিপুরায় খেলা জমিয়ে দিল কংগ্রেস।
কংগ্রেস আসন্ন উপনির্বাচনে প্রদ্যোৎ কিশোর দেববর্মনের টিপ্রার সঙ্গে অলিখিত জোট গড়ার সিদ্ধান্ত নিল। গোপনে তাদের মধ্যে আসন সমঝোতাও হয়ে গিয়েছে বলে রাজনৈতিক মহলের খবর। সুদীপ রায় বর্মন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ছিলেন। কংগ্রেস বিধায়ক হিসেবে ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বিজেপি ছেড়ে ঘরে ফিরেছেন। আর এক প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদ্যোৎ কিশোর দেববর্মন নতুন পার্টি তৈরি করেছিলেন। তাঁর টিপ্রা এবার হাত মেলাচ্ছে কংগ্রেসের সঙ্গে।
সম্র্াতি কংগ্রেস চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনে দুটি কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। আগরতলা থেকে প্রার্থী হবেন সুদীপ রায় বর্মন আর বরদোয়ালি টাউন থেকে প্রার্থী বিজেপি ত্যাগী আশিস সাহা। তাঁরা গতবার ওই কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে জিতেছিলেন। এবার তাঁরা কংগ্রেস প্রার্থী। কংগ্রেস যুবরাজনগরেও প্রার্থী দেবে। কিন্তু সুরমা কেন্দ্রে কংগ্রেস প্রার্থী দেবে না। তারা এই কেন্দ্রটি টিপ্রার জন্য ছেড়ে রাখছে।
কংগ্রেসের প্রদেশ সভাপতি বির্জিত সিনহা জানিয়ে দেন, সুরম কেন্দ্রে তারা প্রার্থী দেবে না। তাঁরা চান, যারা বিজেপিকে হারাতে পারবে, তারাই লড়ুক। টিপ্রা সুপ্রিমো প্রদ্যোৎ কিশোর দেবের সঙ্গে কংগ্রেস অলিখিত জোট করে ফেলল। এই জোট বিজেপির জন্য অশনি সংকেত বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এই জোট যদি সার্বিকভাবে হয়, তাহলে বিজেপির কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে তা। কারণ জনজাতি ভোটের বেশিরভাগটাই দখল করে নিতে পারে টিপ্রা।