অধীরের আস্থা রাহুলের ভারত জোড়ো যাত্রায়, কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ সুদৃঢ় করতে পথে নামার ডাক
অধীরের আস্থা রাহুলের ভারত জোড়ো যাত্রায়, কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ সুদৃঢ় করতে পথে নামার ডাক
বাংলাতেও শুরু ভারত জোড় যাত্রা। রাহুল গান্ধী যখন কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর ভারত পরিক্রমা করছেন, তখ প্রদেশ কংগ্রেস কংগ্রেস নামছে ভারত জোড়ো যাত্রার অংশ হিসেবে সাগর থেকে পাহাড় পদযাত্রায়। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, বুধবার কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবস। এদিনই গঙ্গাসাগরে উদ্বোধন হচ্ছে বাংলায় পদযাত্রার।
সাগরে শুরু, পাহাড়ে শেষ
অধীর চৌধুরী জানান, সাগর থেকে পাহাড়কে এক মৈত্রীর বন্ধনে জুড়তে কংগ্রেস শুরু করছে এই পদযাত্রা। গঙ্গাসাগরের কপিল মুনির আশ্রম থেকে সূচনা হবে পদযাত্রার। এখান থেকে শুরু করে কার্শিয়াং পর্যন্ত হাঁটবেন প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা। সাগর থেকে শুরু করে পাহাড় পর্যন্ত পৌঁছবে ভারত জোড়ো যাত্রা।
৫৫ দিনে ভবিষ্যতের স্বপ্ন
গঙ্গাসাগর থেকে কার্শিয়াং পর্যন্ত এই পদযাত্রায় মোট ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ পথ অতিক্রম করবেন প্রদেশ নেতারা। এই যাত্রা বুধবার থেকে ৫৫ দিন চলবে। ৫৫ দিন পর কর্শিয়াংয়ে শেষ হবে। এই যাত্রাপথে প্রদেশ নেতারা অতিক্রম করবেন উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, কলকাতা, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, মালদহ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং দার্জিলিং জেলা।
অনেক আশা বুকে নিয়ে
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী এদিন বলেন তাঁর বিশ্বাসের কথা। যার মাধ্যমে তিনি এক আশার সঞ্চার করেন। এই পদযাত্রা থেকে কংগ্রেস আরও অনেকটা পথ এগিয়ে যাবে। ভারতেও এগোবে বাংলাতেও এগোবে। তিনি বলেন, আমরা রাজনীতি করি, ডিভিডেন্ড দেয়। এই যে রাহুল গান্ধী ভারত জোড়ো যাত্রা শুরুর সময় কত না বিদ্রুপ করা হয়েছিল, এখন সারা ভারতে রাজনৈতিক ব্যাখ্যা পরিবর্তন হচ্ছে তাঁর কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পরিক্রমার পরে।
কংগ্রেস ঠিক ঘুরে দাড়াবে
অধীরবাবু বলেন, রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রার সাফল্য নিয়েই প্রদেশেও আমরা সেই উদ্যোগ নিয়েছিল। ডিভিডেন্ড কী হবে পরবর্তী সময়ে জানা যাবে, নির্বাচনী ফল বলবে সেই কথা। আমার বিশ্বাস, কংগ্রেস ঠিক ঘুরে দাড়াবে। কংগ্রেসের এই যাত্রা ঘৃণা নয়, সকলকে ভালোবাসতে শেখায়। সংহতি ও সম্প্রীতির পাঠ দেবে কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা।
উদাত্ত আহ্বান অধীরের
সাগর থেকে পাহাড় যাত্রা শুরু আগে অধীর জানিয়েছেন, তাঁর ভারত জোড়ো যাত্রায় রাহুল গান্ধী তৃণমুলকেও আহ্বান জানিয়েছিলেন। তারা মনে করেছে যোগ দেওয়া উচিত নয়, তাই তারা যোগ দেননি। তবে প্রদেশের তরফে তৃণমুলকে আহ্বান করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকিদের কাছে উদাত্ত আহ্বান, স্বৈরতন্ত্র ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন জরুরি। যাঁরা আসতে চাইবেন, তাঁদের আসতে বলব।
বাংলাতেও ভারত জোড়ো যাত্রার সূচনা
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, এটি রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রার অংশ। রাহুলজি জানিয়েছেন, এটি কোনও দলের যাত্রা নয়, এটি সমগ্র ভারতের যাত্রা। তাই এ যাত্রা হবে প্রত্যেকটি প্রদেশেও। সেই নির্দেশমতো বাংলাতেও আমরা শুরু করছি পদযাত্রা। বাংলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আজ বিপণ্ণ। বাংলা আজ দুর্নীতি পরায়ণ হয়ে গিয়েছে। অপরাধীরা উচ্চৈস্বরে কথা বলছে। এই ভারত জোড়ো যাত্রা বাংলাতেও মৈত্রীর বাতাবরণ তৈরি করবে বলে আশাবাদী আমরা
কংগ্রেসে বাড়ছে আস্থা, যোগদান ফরওয়ার্ড ব্লকের ১১টি লোকাল কমিটির সদস্যের