বিজেপিকে আটকাতে তৃণমূলকে আসন ছাড়ার প্রস্তাব, নয়া ভাবনায় কি সায় কংগ্রেসের
বাম-কংগ্রেসের জোট নিয়ে যখন প্রায় পাকা, তখন কংগ্রেসের একটা পক্ষ আবার তৃণমূলকে আসন ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে রাখল।
বাম-কংগ্রেসের জোট যখন প্রায় পাকা, তখন কংগ্রেসের একটা পক্ষ আবার তৃণমূল কংগ্রেসকে আসন ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে রাখল। কংগ্রেসের ওই পক্ষের যুক্তি, তৃণমূলের সঙ্গে জোট নয়, বিজেপিকে আটকাতে খড়গপুর সদর আসনে সমাঝোতা দরকার। তবে কংগ্রেসের একটা বড় অংশের সায় নেই সেই প্রস্তাবে।
কংগ্রেসের বড় অংশের যুক্তি অন্য
প্রদেশ কংগ্রেসের বড় অংশের যুক্তি, বামফ্রন্টের সঙ্গে জোট করব, আবার তৃণমূলকে আসন ছাড়ব- দুই নৌকায় পা দিয়ে এভাবে চলা যায় না। আর চলা সম্ভবও নয়। বামফ্রন্টের সঙ্গে জোট করাকেই সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে চাইছে প্রদেশ কংগ্রেস। সেটাই দলের পক্ষে ভালো হবে বলে মনে করছেন সোমেন মিত্র অ্যান্ড কোং।
তৃণমূলের থেকেও বেশি বিজেপি বিরোধী
বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান কট্টর তৃণমূল বিরোধী হলেও, তিনি তার থেকেও বেশি বিরোধী বিজেপির। তাই তিনিই একটা ভাবনা দিয়েছিলেন, বিজেপিকে আটকাতে তৃণমূলকে আসন ছাড়ার। তাঁর যুক্তি খড়গপুর আসনে এই মুহূর্তে কংগ্রেসের ভিত নড়বড়ে। ওখানে প্রার্থী দেওয়া মানে বিজেপির পথ মসৃণ করা।
তৃণমূলকে সমর্থন নয়, বিজেপিকে আটকানো
সেই কারণেই প্রার্থী না দেওয়ার একটা প্রস্তাব তিনি রেখেছিলেন। তাঁর এই যুক্তি তৃণমূলকে সমর্থন করে নয়, বিজেপিকে আটকানোর একটা প্রয়াস বলেই ব্যাখ্যা করেন আবদুল মান্নান। উল্লেখ্য, তিনিই বামফ্রন্টকে নিয়ে বিধানসভায় তৃণমূল বিরোধিতায় সামিল হয়েছিলেন। তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইটা তিনি চালিয়ে যাওয়ারই পক্ষে।
বিজেপির উপর তিতিবিরক্ত মানুষ, প্রমাণিত
রাজ্যে তৃণমূলের বিকল্প হিসেবে অনেকেই ভেবেছিলেন বিজেপির কথা। কিন্তু বিজেপি যে বিকল্প নয়, তা বুঝিয়ে দিয়েছে দুই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফল। মানুষ যে বিজেপি সরকারের উপর তিতিবিরক্ত তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। এই মুহর্তে গোটা দেশেই বিকল্পের বড্ড অভাব। বিকল্পের অভাব রাজ্যেও। এই পরিস্থিতি কাজে লাগাতে বদ্ধপরিকর কংগ্রেস-বামেরা।
বিজেপি বিকল্প নয়, কাজে লাগাতে তৎপরতা
মানুষ বিকল্প খুঁজছে। বিজেপি বিকল্প নয় বুঝেই তারা ফের ফিরে আসছে তৃণমূলে। এই পরিস্থিতিতে বাম-কংগ্রেস প্রাসিঙ্গক হয়ে উঠতে পারেনি। তাহলে মানুষ ফের ভিড়ত বাম-কংগ্রেসের দিকে। এ রাজ্যে বামফ্রন্ট বা কংগ্রেসকে ছুঁড়ে ফেলেছে মানুষ। এখন নতুন কোনও শক্তি হয়ে উঠতে পারলে তবেই গ্রহণযোগ্যতা ফিরবে।
তবে কি ফের তৃণমূলেই শোভন! বৈশাখীর সঙ্গে বৈঠকের পর তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য পার্থর