কংগ্রেসের তিন পথই খোলা! লোকসভা ভোটে বিপর্যয়ের পর আলোর সন্ধানে দিল্লি ও প্রদেশ
কোন পথে যাবে কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেসের একাংশ চাইছে সিপিএমের সঙ্গে জোট। আবার হাইকম্যান্ড আগ্রহী তৃণমূলের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী জোট গড়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে।
কোন পথে যাবে কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেসের একাংশ চাইছে সিপিএমের সঙ্গে জোট। আবার হাইকম্যান্ড আগ্রহী তৃণমূলের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী জোট গড়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে। আবার রাজ্যের একটা বড় অংশ একলা চলার পক্ষে। এই তিন সম্ভাবনা নিয়ে এখন বিরাট বিড়ম্বনায় পড়েছে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। সোমেন মিত্র পড়েছেন ঘোর বিপাকে।
লোকসভায় ভরাড়ুবি থেকে শিক্ষা নিয়ে আসন্ন উপনির্বাচন ও পুরসভা নির্বাচনে জোট গড়ে নির্বাচন লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বামও কংগ্রেস। জোট ও রফাসূত্র কার্যত চূড়ান্তও হয়ে গিয়েছে। এমন সময় প্রদেশ কংগ্রেসের একাংশ চাইছেন না বামেদের সঙ্গে রাজ্যে কোনওরকম সমঝোতা হোক। তাই উপনির্বাচনের আগে ফের সংকট তৈরি হয়েছে।
আবার দিল্লিতে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা যোগাযোগ রেখে চলেছেন রাহুল গান্ধী ও সোনিয়া গান্ধী-সহ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে। তাঁরা চাইছেন দীর্ঘমেয়াদী জোট গড়়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে। কিন্তু রাজ্য নেতৃত্বের যে তৃণমূলে অনীহা আছে, তা বিলক্ষণ জানে হাইকম্যান্ড। তাই তৃণমূলকে নিয়ে আগ্রহ দেখালেও রাজ্যের মনোভাব মাপছে হাইকম্যান্ড।
এদিকে সিপিএমের সঙ্গে জোট নিয়ে বিরোধী মত পোষণকারীদের যুক্তি, প্রতিকূল পরিস্থিতিতেই এককভাবে ভোটে লড়ে লোকসভায় দুটি আসনে জয় পেয়েছে কংগ্রেস। ফলে যদি সংগঠন বৃদ্ধিতে বিশেষ নজর দেওয়া যায়, তবে কংগ্রেস আবার এককভাবে লড়াই দিতে পারে বিজেপি ও তৃণমূলকে। সিপিএমকে নিয়ে চলার কোনও অর্থই হয় না। এতে কংগ্রেসের নিচুতলার নেতৃত্বের কাছে ভুল বার্তা যাবে।
প্রদেশ কংগ্রেসের একাংশ মনে করছে কংগ্রেস একলা চললেই ভালো করবে। প্রথমে গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানো দরকার মানুষের কাছে। তবেই প্রাসঙ্গিকতা ফিরে পাবে দল। কংগ্রেসের অধিকাংশ বিধায়কের মত, এককভাবে লড়াই করেই কংগ্রেস প্রাসঙ্গিকতা ফিরে পারে রাজ্য রাজনীতিতে। সে ক্ষমতা কংগ্রেসের এখনও আছে।