একদিনের মনোনয়নেও হিংসা পিছু ছাড়ল না, রাস্তাতেই আক্রান্ত কংগ্রেস সাংসদ-বিধায়করা
আদালতে নির্দেশ সত্ত্বেও মনোনয়ন ঘিরে হিংসা পিছু ছাড়ল না। ভোটের মনোনয়ন পর্বে রাজনৈতিক হিংসার হাত থেকে রক্ষা পেলেন না বিধায়করাও।
আদালতে আইনি লড়াই শেষে একদিনের মনোনয়নের অনুমতি মিললেও, সেই মনোনয়ন ঘিরে হিংসা পিছু ছাড়ল না আবারও। ভোটের মনোনয়ন পর্বে রাজনৈতিক হিংসার হাত থেকে রক্ষা পেলেন না সাংসদ-বিধায়করাও। মুর্শিদাবাদে কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান ও বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তীকে আক্রান্ত হতে হল রাস্তাতেই।
[আরও পড়ুন: থানার লক-আপে মধুমিতার আত্মহত্যার চেষ্টা, পুলিশকে কাঠগড়ায় তুলল এপিডিআর]
সব ক্ষেত্রেই অভিযোগের তির তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। প্রার্থীদের নিয়ে মনোনয়ন দিতে যাওয়ার পথে তৃণমূল-আশ্রিত গুন্ডাবাহিনীর হাতে আক্রান্ত হন আবু হাসেম খান ও মনোজ চক্রবর্তী। আবু হাসেমের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়। কোনওরকমে পালিয়ে রক্ষা পান সাংসদ।
[আরও পড়ুন:টার্গেট '১৯-এ পঞ্চায়েতের প্রচারে নেই মমতা! তবে দলনেত্রীর অভাব ঢাকতে মুখ কে]
আর কংগ্রেস বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী যখন প্রার্থীদের নিয়ে মনোনয়ন দিতে যাচ্ছিলেন মিছিল করে, তাঁর উপর চড়াও হন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। লাঠির আঘাতে রাস্তায় পড়ে যান মনোজ। তাঁকে কোনওরকমে উদ্ধার করে পার্টি অফিসে নিয়ে যান কংগ্রেস কর্মীরা। এই হিংসার ঘটনা রাজ্যের গণতান্ত্রিক অধিকারকে আবার প্রশ্নের মুখে ফেলে দিল।
এদিন মনোনয়নে বাধার মুখে পড়ে ফের আদালতের দ্বারস্থ হয় কংগ্রেস। তারা জানায়, রাজ্যে মনোনয়নের সুষ্ঠু পরিবেশ নেই। তাঁদের মনোনয়ন দিতে এদিনও বাধা দেওয়া হয়েছে। এদিকে বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তীকে মারধরের পর রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা। তাঁদের দাবি সুষ্ঠুভাবে মনোনয়ন দিতে দেওয়ার বন্দোবস্ত করতে হবে।
এরপর পুলিশ এসে তাঁদের মনোনয়নের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন। কিন্তু বারবার বাধার মুখে পড়, প্রশাসনিক ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তীকে মারধরের প্রতিবাদে এদিন প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র পুড়িয়ে দেন। মনোনয়নে বিভিন্ন জেলায় এই বাধাদানের ফলে ফের পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল এদিন।
[আরও পড়ুন: থানার লক-আপে মধুমিতার আত্মহত্যার চেষ্টা, পুলিশকে কাঠগড়ায় তুলল এপিডিআর]