'মোমবাতি জ্বালাব না' মোদীর ভিডিও বার্তা সপাটে উড়িয়ে ঘোষণা কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর
'মোমবাতি জ্বালাব না' মোদীর ভিডিও বার্তা সপাটে উড়িয়ে ঘোষণা কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীর
মোমবাতি জ্বালাব না। সপাটে মোদীর অনুরোধ উড়িয়ে ঘোষণা করলেন কংগ্রেস সাংসদ এবং লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। মোদীর অনুরোধ উড়িয়ে দিয়ে অধীর বলেছেন, মোমবাতি বা প্রদীপ জ্বালিয়ে করোনা ভাইরাসের সঙ্গে যুদ্ধ করা যায় না। সেকারণেই ৫ এপ্রিল তিনি মোমবাতি জ্বালাবেন না বলে জানিয়েছেন।
মোমবাতি জ্বালাবেন না অধীর
করোনা মোকাবিলার যুদ্ধে সামিল হওয়ার জন্য দেশবাসীকে ৫ মার্চ রাত ৯টার সময় ৯ মিনিট মোমবাতি জ্বালানোর অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মোদীর অনুরোধ উড়িয়ে দিয়ে কংগ্রেসের লোকসভা দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী জানিয়েছেন তিনি কোনও ভাবেই মোমবাতি জ্বালাবেন না। কারণ তিনি বিশ্বাস করেন মোমবাতি বা প্রদীপ জ্বালিয়ে করোনা সংক্রমণ দমন করা যায় না। তিনি মোমবাতি জ্বালিয়ে করোনা দমনে বিশ্বাস করেন না তাই ৫ মার্চ তিনি মোমবাতি জ্বালাবেন না বলে জানিয়েছেন। অধীর অভিযোগ করেছেন মোমবাতি না জ্বালানোর জন্য তাঁকে দেশদ্রোহী বলা হতে পারে তবে তার জন্য তিনি প্রস্তুত।
সমালোচনায় শশী থারুর
অধীরের পাশাপাশি কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরও মোদীর এই ভিডিও বার্তার সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন দিশাহীন সরকার। করোনায় জর্জরিত মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। অর্থনৈতিক সংকট বাড়ছে। খাবার পাচ্ছে না মানুষে। সেদিকে না দেখে মোমবাতি জ্বালিয়ে করোনা দূর করার কথা বলছেন মোদী। অত্যন্ত হাস্যকর এই যুক্তি বলে কটাক্ষ করেছেন শশী থারুর।
তালি বাজানোর পর মোমবাতি জ্বালানো
এর আগে গত ২২ মার্চ জনতা কার্ফুর দিন বিকেল ৫টা নাগাদ হাত তালি দিয়ে দেশবাসীকে জরুরিপরিষেবা দানকারীদের ধন্যবাদ জানাতে বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাতে সামিল হয়েছিলেন দেশবাসী। তারপরেই ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করে মোদী সরকার। কিন্তু সেই লকডাউন অনেেকই মানছেন না দেখে ফের ৫ মার্চ রাত ৯টায় আলো ঘরের আলো নিভিয়ে বাড়ির সদর দরজায় অথবা বারান্দায় মোমবাতি, প্রদীপ অথবা মোবাইলের ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালিয়ে করোনা যুদ্ধে মনোবল বাড়ানোর কথা বলেছেন।