আম্ফানে মুখ্যমন্ত্রী টাকা দেওয়ার দাবি নিয়ে প্রশ্ন! রাজ্য লুটেরাদের হাতে স্বর্গ, বিস্ফোরক অধীর
ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের পর ২ সপ্তাহ কেটে গেলেও, উপকূল এলাকায় লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে এখনও বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি। একইসঙ্গে রয়েছে ত্রাণ নিয়ে দলবাজি ও লুটের ঘটনা।
ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের পর ২ সপ্তাহ কেটে গেলেও, উপকূল এলাকায় লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে এখনও বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি। একইসঙ্গে রয়েছে ত্রাণ নিয়ে দলবাজি ও লুটের ঘটনা। এদিন এমনটাই অভিযোগ করলেন, লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী। মুখ্যমন্ত্রীর আম্ফান্ত বিধ্বস্তদের টাকা দিয়ে সাহায্য করার কথা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
আম্ফানের পর পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি
২০ মে বিধ্বংসী আমফানের প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গরে উপকূল এলাকা গুলিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়। সেদিন তৃণমূলের নেতারা বলেছিল কলকাতায় একটু সমস্যা রয়েছে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি বলছে উপকূল এলাকাগুলিতে ৫ থেকে ৬ লক্ষ মানুষের কাছে বিদ্যুৎ এখনও পৌঁছয়নি। এমনটাই দাবি অধীর চৌধুরীর। তাঁর আরও অভিযোগ, দুসপ্তাহ হয়ে গেলেও পশ্চিমবঙ্গ সরকার ব্যর্থ। সারা রাজ্য জুড়ে করোনা ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মধ্যে কিছু লুটেরার হাতে স্বর্গ রূপান্তরিত হয়েছে ।
ত্রাণ নিয়ে দলবাজির অভিযোগ
অধীর চৌধুরীর অভিযোগ, এরই মধ্যে জুড়েছে ত্রাণ নিয়ে দলবাজি, লুট। বাইরের কোনও সংস্থা ত্রাণ দিতে গেলে তাদের বাধা দেওয়া হচ্ছে। আম্ফান মোকাবিলায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রস্তুতির অভাবেরও অভিযোগ করেন তিনি। অধীর চৌধুরীর অভিযোগ, বিধ্বংসী আমফান মোকাবিলায় বাহিনী আগেই নামানো যেত, কিন্তু সরকার তা চায়নি।
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি নিয়ে প্রশ্ন
অধীর চৌধুরীর বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন আম্ফান বিধ্বস্তদের জন্য রাজ্য সরকার ১৪৪৪ কোটি টাকা সাহায্য করেছে। কিন্তু সবার জানা উচিত, প্রতিটি রাজ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য ২০০৫ সালে ন্যাশন্যাল ডিজাস্টার অ্যাক্ট আইন পাশ হয় । এই আইন অনুযায়ী প্রতিটি রাজ্যকে ঝড়, বন্যা ও ভূমিকম্পের জন্য আগাম টাকা দেওয়া থাকে। যাকে বলা হয় স্টেট ডিজাস্টার রিলিফ ফান্ড। মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা, এই টাকা তিনি কোথা থেকে দিলেন। সরকারের কাছে কেন্দ্র থেকে রাখা প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলার অগ্রিম যে অর্থ বরাদ্দ হয় সেখান থেকে টাকা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য সরকার বলছে ১৪৪৪ কোটি টাকা দেওয়া হল, আর কেন্দ্র বলছে ১০০০ কোটি টাকা। তাহলে তো ২৪৪৪ কোটি টাকা দেওয়ার কথা।
পরিযায়ীদের অপরাধী বানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী
রাজ্যে যাঁরা বাইরে থেকে আসছেন তাঁদের জন্য কোয়ারেনন্টাইন সেন্টারের কথা বলা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, তিনি, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করবেন অর্থাৎ সরকারি ভাবে তাঁদের রাখার ব্যবস্থা করবেন। কিন্তু সেখানে সরকারি ভাবে কোনও খাবারের ব্যবস্থা নেই। পরিযায়ী শ্রমিকের নাম করে বাংলার বাইরে আটকে থাকা মানুষদের তিনি সাধারণ মানুষের কাছে অপরাধী বানিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে অধীর চৌধুরী।