মুকুলের নির্দেশ! কংগ্রেস বিধায়ক ২০১৯-এর ভোটে কাজ করেছেন বিজেপির হয়ে
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসে থেকেও বিজেপির হয়ে কাজ করেছিলেন। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়ে বিধায়ক স্বীকার করলেন সে কথা। এ তো চূড়ান্ত বেইমানি!
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসে থেকেও বিজেপির হয়ে কাজ করেছিলেন। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়ে বিধায়ক স্বীকার করলেন সে কথা। এ তো চূড়ান্ত বেইমানি! মানতে নারাজ সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়। তাঁর সাফ যুক্তি, তৃণমূলের বিরোধিতা করতেই এই কাজ করেছেন তিনি।
কংগ্রেসে থেকেই বিজেপিতে, বিস্ফোরক বিধায়ক
শুভেন্দু অধিকারীর বিধায়ক পদে ইস্তফার সময়ে তিনিই ছিলেন অগ্রভাগে। তখন থেকেই তাঁর বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা তৈরি হয়ে যায়। সেই জল্পনা সত্যি করে পুরুলিয়ার বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে যোগ দেন বিজেপিতে। তারপর সংবাদমাধ্যমের একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বিস্ফোরক মন্তব্য করেন।
২০১৯ থেকেই বিজেপি, যোগাযোগ মুকুলের সঙ্গে
সুদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, আমরা ২০১৯ থেকেই বিজেপি করছি। বিজেপি আমাদের কাছে নতুন নয়। তখন থেকেই আমার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল তৎকালীন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বর্তমানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। আর যোগযোগ ছিল মুকুল রায়ের সঙ্গেও। তাহলে বিজেপিতে যোগ দেননি কেন? বিধায়কের সাফ কথা, অপেক্ষা করার নির্দেশ ছিল।
কংগ্রেসে থেকেই বিজেপির হয়ে কাজ, মুকুলের নির্দেশ
মুকুল রায়ের তরফ থেকেই নির্দেশ এসেছিল পুরুলিয়ার কংগ্রেস বিধায়কের কাছে। সুদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসে থেকেই আমরা বিজেপির হয়ে কাজ করেছিলাম। তখন সরাসরি বিজেপির ঝান্ডা নিয়ে ময়দানে নামতে পারিনি। তবে কংগ্রেসের হয়েও বের হইনি প্রচারে। অনুগামী ও ঘনিষ্ঠদের নির্দেশ ছিল বিজেপির হয়েই কাজ করার।
২০১৯ থেকে যোগাযোগ, ২০২১-এ হাতে পদ্ম
শুভেন্দু অধিকারীকে তিনি নেতা মানেন। আর মুকুল রায় তো ছিলেনই। শুভেন্দু বিজেপিতে যোগদান চূড়ান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনিও সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন। একসঙ্গেই অমিত শাহের হাত থেকে পতাকা নিয়ে তাঁরা বিজেপিতে যোগদান করেন। এবার সরাসরি বিজেপির হয়ে তিনি কাজ করবেন। বাংলা থেকে তৃণমূলের অপশাসন মুক্ত করাই তাঁর লক্ষ্য।
মমতা বিরোধিতায় কংগ্রেসের দু-নৌকায় নারাজ
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর পরিবারের নিবিড় যোগাযোগ ছিল একটা সময়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অহঙ্কার গ্রাস করে নেয় বলে সুদীপবাবুর অভিমত। আর কংগ্রেস দিল্লিতে আর রাজ্যে দু-রকম মানসিকতা নিয়ে দল চালাচ্ছে। দিল্লিতে তৃণমূলের প্রতি নরম কংগ্রেস, আর বাংলায় প্রবল তৃণমূল বিরোধিতা। একই পার্টির দুই মুখ প্রকট হয়েছে বারবার।