তৃণমূলে পা বাড়িয়ে থাকা বিধায়কের নালিশ রাহুলের কাছে, জোট-প্রশ্নে বার্তা অধীরকে
তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে চলেছেন। ফারাক্কার কংগ্রেস বিধায়ক নিজেই জানিয়েছিলেন সেই কথা। এমনকী তৃণমূলে যোগ দেওয়ার দিনক্ষণও জানিয়ে দিয়েছিলেন মইনুল হক।
তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে চলেছেন। ফারাক্কার কংগ্রেস বিধায়ক নিজেই জানিয়েছিলেন সেই কথা। এমনকী তৃণমূলে যোগ দেওয়ার দিনক্ষণও জানিয়ে দিয়েছিলেন মইনুল হক। আবার সেই তিনিই ছুটে গিয়েছিলেন রাজ্য কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক গৌরব গগৈয়ের কাছে। শুক্রবার তিনি খোদ রাহুল গান্ধীর কাছে স্পষ্ট করে দিলেন তাঁর অবস্থান।
ফারাক্কার পাঁচবারের বিধায়ক তিনি। এআইসিসি-র যুগ্ম সম্পাদকও। অধীর চৌধুরীর সঙ্গে তাঁর তীব্র মতপার্থক্যই যে কংগ্রেস ছাড়ার সিদ্ধান্তের পিছনে একমাত্র কারণ, তা এদিন স্পষ্ট করে দিলেন কংগ্রেস সভাপতির কাছেই। এমনকী এদিন তিনি কার্যত হুমকি দিয়ে গেলেন, কংগ্রেস যদি ফের সিপিএমের হাত ধরে তিনি কংগ্রেস ছেড়ে দেবেন নিশ্চিতভাবেই।
মইনুল মনে করেন, তৃণমূলের সঙ্গে জোট করে লড়াই করাই শ্রেয়। তাতেই কংগ্রেস লাভবান হবে। তাঁর দাবি, ২০১৬ নির্বাচনের আগে তিনিও সিপিএমের সঙ্গে জোটের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। কিন্তু জোট করে কোনও লাভই হয়নি। বরং সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়তে হয়েছে তাঁকে। অনেকেরই মত, তৃণমূলের সঙ্গে জোট করলেই বেশি লাভবান হবে কংগ্রেস। সিপিএমের সঙ্গে জোটের পরই কংগ্রেসের সংগঠন বেশি ভেঙেছে। সিপিএমের সঙ্গে জোট না করলে কংগ্রেস ছেড়ে এত মানুষ তৃণমূলে যেত না।
ফের যদি সেই সিপিএমের সঙ্গে জোট করা হয়, তা আত্মহত্যারই সামিল হবে। আখেরে কিছুই লাভ হবে না। আজ যাঁরা তৃণমূলের বিরোধিতা করতে গিয়ে শুধু সিপিএমের সঙ্গে জোট করার কথা ভাবছেন, তাঁরাও বুঝতে পারবেন স্বল্প দিনেই কিছুই লাভ নেই সিপিএমের সঙ্গে জোট করে। কারণ সিপিএম একেবারেই ক্ষয়িষ্ণু শক্তি। আর সিপিএমের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট কখনও হতে পারে না। তাতে সাধারণ মানুষের কাছে এবং নিচু তলার নেতৃত্ব ও কর্মীদের কাছে ভুল বার্তা যায়। তাই বুমেরাং হয়ে ফিরে আসে।
মইনুল হকের কথার সঙ্গে একই সুরে সিপিএমের সঙ্গে জোটের বিরোধিতা করেন মৌসন বেনজির নুর, আবু হাসেমর খান চৌধুরীরাও। তাঁরাও তৃণমূলের সঙ্গে সমজোতার পক্ষে। এদিন প্রত্যেক নেতার সঙ্গে এই মর্মেই আলাদা করে কথা বলেন রাহুল গান্ধী। আলাদা আলাদা প্রত্যেকের মত নেন। প্রত্যেকের সঙ্গে তিন মিনিট করে আলাদা কথা বলেন রাহুল গান্ধী। তবে এখনই কোনও সিদ্ধান্ত তিনি জানাননি। তিনি স্পষ্ট করে দেন, হাইকমান্ডই এই সিদ্ধান্ত জানাবে। কংগ্রেস হাইকম্যান্ড এই প্রশ্নে ধর্মসংকটে পড়েছে।