অধীর-গড়ে বড় ভাঙন, শুভেন্দুর ‘হানা’য় কংগ্রেস বিধায়কের যোগদান তৃণমূলে
এবার আর প্রার্থী নয়, স্বয়ং কংগ্রেস বিধায়ককেই ভাঙিয়ে নিলেন শুভেন্দু। কংগ্রেস বিধায়ক অপূর্ব সরকারের তৃণমূলে যোগদানে আরও একা হয়ে পড়লেন অধীর চৌধুরী।
মাসখানেক আগেই সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী আমিনুল ইসলামকে দলে টেনে অধীর চৌধুরীকে মুতোর জবাব দিয়েছিলেন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। ফের তিনি কংগ্রেসের ভাঙন ধরালেন মুর্শিদাবাদের অধীর-গড়ে। এবার আর প্রার্থী নয়, স্বয়ং কংগ্রেস বিধায়ককেই ভাঙিয়ে নিলেন শুভেন্দু। কংগ্রেস বিধায়ক অপূর্ব সরকারের তৃণমূলে যোগদানে আরও একা হয়ে পড়লেন অধীর চৌধুরী।
[আরও পড়ুন: শপথগ্রহণ মঞ্চে মোদী-মানিক একসঙ্গে, ত্রিপুরায় তৈরি হল নতুন ইতিহাস, দেখুন ভিডিও]
দীর্ঘদিন ধরেই কান্দির কংগ্রেস বিধায়ককে নিয়ে জল্পনা চলছিল। শেষপর্যন্ত সেই জল্পনাকে সত্যি প্রতিপন্ন করে শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে অপূর্ববাবু যোগ দিলেন ঘাসফুল শিবিরে। তিনি শুধু বিধায়ক ছিলেন না, কান্দি পুরসভার চেয়ারম্যানও ছিলেন। তাঁর যোগদানের ফলে কান্দি পুরসভাও হাতছাড়া হল কংগ্রেসের।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিধায়ক তথা চেয়ারম্যানের এই দলবদল মুর্শিদাবাদ কংগ্রেস শিবিরের কাছে বিশেষ করে অধীর চৌধুরীর কাছে অতি বড় ধাক্কা। কারণ দক্ষ প্রশাসক হিসেবে সুখ্যাতি রয়েছে অপূর্ব সরকারের। ফলে তাঁর দলত্যাগ নিঃসন্দেহে কংগ্রেসের কাছে বড় ধাক্কা। বৃহস্পতিবার তৃণমূল কংগ্রেসের মুর্শিদাবাদ জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারীর উপস্থিতিতে শাসকদলে যোগ দেন অপূর্ব সরকার। কান্দিতে যে কংগ্রেস শিবিরে ভাঙন ধরছে, সেই আভাস একদিন আগেই অর্থাৎ বুধবার দিয়েছিলেন পরিবহণমন্ত্রী। তা-ই সত্যি হল বৃহস্পতিবার।
[আরও পড়ুন: ত্রিপুরায় পথ চলা শুরু বিজেপি সরকারের, নয়া দিশার অঙ্গিকার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের]
শুভেন্দু জানান, 'মুর্শিদাবাদে অধীরের দিন শেষ। ২০১৯-এ মুর্শিদাবাদে কংগ্রেস বলে আর কোনও পার্টি থাকবে না।' তিনি বলেন, 'এখন মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা দাঁড়াল ৬। বাকিদেরও গাড়িতে চাপিয়ে তাড়াতাড়ি আনব। একদা অধীর ঘনিষ্ঠ নেতা অপূর্ব সরকার গত ছ-মাস ধরে কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রেখে চলছিলেন। পার্টির কাজও তাঁকে বাদ দিয়েই হচ্ছিল।'
ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে তৃণমূলের বহিষ্কৃত নেতা সামসুল হুদাকে কংগ্রেসে যোগদান করিয়ে হুঙ্কার ছেড়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। সেদিন কংগ্রেস প্রার্থী আমিনুল ইসলাম ও নির্দল প্রার্থী সামসুল হুদার প্রাপ্ত ভোটের পরিসংখ্যান দিয়ে মুর্শিদাবাদের মাটিতে ফের কংগ্রেসের ফিরে আসার বার্তা দিয়েছিলেন। তারপরই কংগ্রেস প্রার্থী আমিনুল ইসলামকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করান শুভেন্দু। মুর্শিদাবাদে দলবদলের রাজনীতি অব্যাহত।