সাধন পাণ্ডে-সহ রাজ্যের ১৩ ক্যাবিনেট মন্ত্রী কি বিজেপির পথে, কংগ্রেস নেতার দাবিতে জল্পনা
সাধন পাণ্ডে সহ রাজ্যের ১৩ জন ক্যাবিনেট মন্ত্রী বিজেপিমুখী। নিজের ইউটিউব চ্যানেল বাংলার বার্তায় এমনটাই দাবি করেছেন কংগ্রেস নেতা সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি দাবি করেছেন তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে তৃণমূল কংগ্রেস। এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা।

সুব্রত মুখোপাধ্যায় থেকে সাধন পাণ্ডে ক্ষিপ্ত সবাই
কংগ্রেস নেতা সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, সুব্রত মুখোপাধ্যায় থেকে সাধন পাণ্ডে কেউই ববি হাকিমকে সহ্য করতে পারছেন না। পাশাপাশি তাঁর দাবি কলকাতার মানুষও অপমানিত বোধ করছেন। তাঁর দাবি, আম্ফান প্রমান করে দিয়েছে, মেয়র অর্থাৎ কলকাতা পুরসভার প্রশাসনিক প্রধান ববি হাকিম অপদার্থ ও অনুপযুক্ত।

নিশানা মমতাকে
সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায় কিংবা সুব্রত মুখোপাধ্যায় কলকাতা অনেক ভালভাবে সামলাতেন। কিন্তু বিষয়টি বোঝেনি কালীঘাট। তাঁর অভিযোগ একদিকে যখন জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়কে পুলিশ আটকে দিচ্ছে, ত্রাণ বিলিতে বাধা দিচ্ছে, তখনই বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহানের সঙ্গে পুলিশ অন্য ব্যবহার করছে।

সাধন পাণ্ডের সাহস নিয়ে প্রশ্ন
সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন করেছেন একটা সময়ে সাধন পাণ্ডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছের বলেই পরিচিত ছিলেন। তাঁর এত সাহস হয় কী করে, কলকাতা পুরসভার প্রশাসনিক প্রধানের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন। প্রসঙ্গত ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে মঙ্গলবার বলেছিলেন, আগে থেকেই আম্ফান নিয়ে সতর্ক করেছিল আবহাওয়া দফতর, কিন্তু সেব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়নি পুরসভা। ব্যবস্থা নিলে সাতদিন পরেও শহরের অবস্থা এরকম থাকত না। পাশাপাশি বর্তমানে পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম কেন আম্ফানের সম্ভাব্য পরিস্থিতি নিয়ে শহরের প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করলেন না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি।

সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্যাবিনেটের অন্তত ১৩ জন সদস্যের সঙ্গে বিজেপি নিবিড় যোগাযোগ রাখছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী, মন্ত্রীরা তাঁদের রঙ বদল করতে সময় নেবেন না বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। ভিডিওতে সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরও দাবি রাজ্য মন্ত্রিসভার প্রবীণতমদের মধ্যে অন্যতম সুব্রত মুখোপাধ্যায় নাকি বলেছেন সামনের নির্বাচন আর জিততে পারবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেননা উত্তরবঙ্গের পর দক্ষিণবঙ্গেও তৃণমূলের ভিত আলগা হয়েছে।

দেশের দরিদ্র ও পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশা সামনে আনতে অনলাইন প্রচারকে হাতিয়ার কংগ্রেসের