অভিষেকের ইতিহাস, ভুগোল জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন! 'প্যারাশুট ট্রুপার' হয়ে সাংসদ, প্রয়াত সোমেন মিত্রকে আক্রমণের জবাব রোহনের
নিজের বাবা তথা প্রয়াত প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রকে (somen mitra) নিয়ে মন্তব্যের জেরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে(abhishek banerjee) কটাক্ষ করলেন পুত্র রোহন মিত্র (rohan mitra)। সাতগাছিয়ার সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সোমেন ম
নিজের বাবা তথা প্রয়াত প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রকে (somen mitra) নিয়ে মন্তব্যের জেরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে(abhishek banerjee) কটাক্ষ করলেন পুত্র রোহন মিত্র (rohan mitra)। সাতগাছিয়ার সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সোমেন মিত্রের নাম তুলেছিলেন। পরে তাঁরই জবাব দেন রোহন।
ডায়মন্ডহারবার এখন সেরা
সাতগাছিয়ায় তৃণমূলের সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন ২০০৯ সালে ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ হয়েছিলেন সোমেন মিত্র। তারপর ২০১৪-র আগেই তিনি কংগ্রেসে ফিরে যান। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ ছিল, সোমেন মিত্র ডায়মন্ডহারবারের জন্য কোনও কাজ করেননি। যা করেছেন তিনি নিজেই। তাই আজ ডায়মন্ডহারবার সেরা। ২০১৪ সালে যেখানে তাঁর জেতার ব্যবধান ছিল ৭১ হাজার, ২০১৯-এ রাজ্যের মধ্যে তিনিই সব থেকে বেশি ভোটে ডায়মন্ডহারবার থেকে জিতেছিলেন বলেও মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
ইতিহাস, ভুগোল জানেন না অভিষেক
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের পরেই রোহন মিত্রকে কটাক্ষ করেন রোহন। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, ইতিহাস, ভুগোল জেনে রাজনীতিতে নামা উচিত। সোমেন মিত্র ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ থাকাকালীন কী কী কাজ করেছিলেন, তা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মঞ্চে বসা অশোক দেবের থেকে জেনে নিতে পারতেন। তিনি আরও কটাক্ষ করে বলেন, হোমওয়ার্ক না করলে এমন ভুল কথা মুখ দিয়ে বেরোবেই। তিনি আরও বলেন, দলের নেতা-মন্ত্রী যাঁদের নেতা বানিয়েছিলেন সোমেন মিত্র, তাঁদের কাছে গিয়ে একটু হোম ওয়ার্ক করে, তবেই বক্তব্য রাখুন।
প্যারাশুট ট্রুপার অভিষেক
রোহন মিত্র বলেছেন, ২০০৯-এ যে সময় সোমেন মিত্র ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, সেই সময় তা ছিল বামেদের তথা সিপিএম-এর শক্ত ঘাঁটি। সেই কেন্দ্র থেকেই সাংসদ হয়েছিলেন সোমেন মিত্র। তিনি কটাক্ষ করে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, সোমেন মিত্রের জেতা সুনিশ্চিত আসনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্যারাশুট ট্রুপার হয়ে সাংসদ হয়েছেন।
দায়বদ্ধতার প্রশ্নে আপোস করেননি
রোহন মিত্র দাবি করেন, দায়বদ্ধতার প্রশ্নে আপোস করেননি সোমেন মিত্র। সেই দায়বদ্ধতা থেকেই দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তৃণমূল ত্যাগ করে পুরনো দল কংগ্রেসে ফিরে গিয়েছিলেন। এব্যাপারে তিনি চিটফান্ড দুর্নীতি নিয়ে সোমেন মিত্রের লেখা চিঠির কথা উল্লেখ করেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সোমেন মিত্র যখন তৃণমূল ছাড়েন সেই সময় চিটফান্ড দুর্নীতির অভিযোগে তোলপাড় রাজ্য। সেই কথাই উল্লেখ করে রোহন বলেছেন, সারদা-সহ চিটফান্ড দুর্নীতির কবলে পড়ে ডায়মন্ডহারবার তথা দক্ষিণ ২৪ পরগনার গরিব মানুষেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন।