তৃণমূলের দালালদের খুন করে জেলে যেতে প্রস্তুত অধীর-‘শিষ্য’! প্রাক-নির্বাচনী হুঁশিয়ারি
বেফাঁস মন্তব্য করে ভিতর্কে জড়ালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর ডানহাত হুমায়ুন কবীর। প্রাক্তন তৃণমূল মন্ত্রী এখন ফের অধীর শিবিরে। তিনি ঘরে ফিরে আসার পর আবার স্বমহিমায় ফিরে উত্তাপ ছড়ালেন তাঁর বেফাঁস মন্তব্যে। শাসকদলের ধামাধরাদের দেখে নেওয়ার হুমকি দিলেন তিনি। এমনকী পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিয়ে জেল খাটার বার্তা দিতেও কসুর করলেন না হুমায়ুন।

[আরও পড়ুন:সব ব্যাটাকে বিজেপিতে যোগ দিতে হবে! পঞ্চায়েতের প্রচারে নাকখত-বার্তা দিলীপের]
'গুরু' অধীর চৌধুরীকে পাশে বসিয়েই হুমায়ুন কবীর গণ অবস্থানের মঞ্চ থেকে শাসকদল তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিলেন। তিনি বলেন, 'আমরা সংবিধান ও আইনকে সম্মান করি, বিচারব্যবস্থাকে সম্মান করি, তাই মস্তানি করি না। কিন্তু মস্তানি দেখানোর ক্ষমতা আমাদেরও আছে। মুর্শিদাবাদের মাটিতে এখনও আমরা তৃণমূলকর্মীদের মেরে ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা রাখি।'
পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে যে প্রহসন শুরু হয়েছে রাজ্যে তার প্রতিবাদে এদিন গণ অবস্থানে বসে কংগ্রেস। বহরমপুরে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে এই গণ অবস্থানের মঞ্চ থেকেই হুমায়ুন বলেন, 'আমরা মস্তানি করতে চাই না। কিন্তু যে সব আধিকারিক শাসকদলের হয়ে দালালি করছে, তাঁদের বিরুদ্ধে আমরা আক্রমণ শানাতে বাধ্য হব। প্রয়োজনে তাঁদের এই পৃথিবী থেকে সরিয়ে দিয়ে জেলে যাব।'
অধীর চৌধুরীর সামনেই খুনের হুমকি দিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসকেও অস্বস্তিতে ফেললেন তিনি। রাজ্যে নির্বাচনের নামে প্রহসনের প্রতিবাদে এদিন আট ঘণ্টা অনশন বিক্ষোভ করে কংগ্রেস। অধীর চৌধুরী থেকে সাসংদ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়, কংগ্রেস বিধায়ক-সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উপস্থিত ছিলেন হুমায়ুন কবীর। তিনি জেলায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তোলেন এবং পাল্টা মারের হুঁশিয়ারি দেন। এই হুমায়ুনই অধীর চৌধুরীর সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে তৃণমূলে নাম লেখান। এখন আবার কংগ্রেসে ফিরে আসে সক্রিয় তিনি।
[আরও পড়ুন:রাজ্যে কর্মসংস্থানের আরও সুযোগ, মমতার সরকারের ঘোষণায় আাশায় যুবসমাজ]