মোদী আর দিদির পাল্টির ঠেলায় নাভিশ্বাস উঠেছে দেশে! এক বন্ধনীতে রেখে তোপ অধীর চৌধুরীর
মোদী আর দিদির পাল্টির ঠেলায় নাভিশ্বাস উঠেছে দেশে! এক বন্ধনীতে রেখে তোপ অধীরের
মোদী আর দিদির পাল্টি খাওয়ার ঠেলায় সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। কেন্দ্রের দাদা আর রাজ্যের দিদিকে এক বন্ধনীতে রেখে তোপ দাগলেন কংগ্রেসের লোকসভা দলনেতা অধীর চৌধুরী। রবিবার বর্ধমানের কার্জন গেটের সামনে তিনি সিএএ-এনআরসির প্রতিবাদে কেন্দ্র ও রাজ্যের সরকারের বিরুদ্ধে একযোগে সরব হন।
মোদী সরকারকে একহাত
অধীর চৌধুরী কেন্দ্রের মোদী সরকারকে একহাত নিয়ে বলেন, আজকে যে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে হইচই হচ্ছে, তা আসলে ১৯৯৯ সালের আইন। ১৩ তম লোকসভার অধিবেশন শুরু হয়েছিল তাঁর সেই প্রশ্ন দিয়ে। তিনি দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আদবানিকে প্রশ্ন করেছিলেন।
শ্বেতপত্র প্রকাশ হয়নি ২০ বছরেও
লালকৃষ্ণ আদবানির উদ্দেশ্যে অধীরের প্রশ্ন ছিল, ভারতে কতসংখ্যক পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারী রয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তখন জানিয়েছিলেন তাঁরা শ্বেতপত্র প্রকাশ করে জানাবেন। কিন্তু ২০ বছর অতিবাহিত হয়ে গেলেও বিজেপি সরকার শ্বেতপত্র প্রকাশ করেনি। জানাতে পারেনি পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারীর সংখ্যাও।
এনআরসি মানে জিন্নাহর ভারত ভাগকে সমর্থন করা
অধীর বলেন, এনআরসিকে সমর্থন করা মানে মহম্মদ আলি জিন্নাহর ভারত ভাগকে সমর্থন করা। মোদী এনআরসি করে হিন্দু ও মুসলিমদের আলাদা করে দিতে চাইছেন। তিনি বলছেন, ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে উড়িয়ে দেব। কিন্তু সেই ক্ষেপণাস্ত্র যিনি তৈরি করেছেন, তাঁর নাম আবদুল কালাম, সেটা ভাবছেন না।
নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা চলবে
অধীরের কথায় নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা না করলে বিজেপি আগামী দিনে তফশিলি জাতি, উপজাতি ও ওবিসিদের অধিকারও কেড়ে নেবে। তাই আমাদের প্রতিবাদ জা্রি থাকবে। এই আইন রদ করার জন্য তাঁদের আন্দোলন চলবে।
মোদীর মতো মমতাও মিথ্যা রটনা করে চলেছেন
অধীর মমতাকে একহাত নিয়ে বলেন, মোদীর মতো মমতাও মিথ্যা রটনা করে চলেছেন, রাজ্যে চারটে শিল্প বৈঠক হয়েছে। প্রতিবারই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন বিপুল অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। কিন্তু আদতে এক টাকাও বিনিয়োগ হয়নি। পরিবর্তে কটামানি প্রথা চালু করেছেন দিদির ভাইয়েরা।
হিন্দু আর মুসলমানে বিভাজন করে দেওয়া হচ্ছে
অধীর এদিন বলেন, গোটা দেশের মানুষকে হিন্দু আর মুসলমানে বিভাজন করে দেওয়া হচ্ছে। স্বাধীনতার ৭০ বছর পর জানতে চাওয়া হচ্ছে নাগরিকত্বের প্রমাণ কী। দেশভাগের সময় যে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, এখন আবার সেই পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছে বিজেপি সরকার।
অমানবিক, সিএএ-র প্রতিবাদী মহিলার খাবার ও কম্বল ছিনিয়ে নিল যোগীর পুলিস