সিবিআই কাণ্ডে রাহুলের সমর্থন মমতা পেলেও অধীরের কণ্ঠে কোন সুর! কংগ্রেসী রাজনীতিতে চমক
উত্তপ্ত বাংলায় এদিন একাধিক কর্মসূচি নিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। তবে কংগ্রেসের অবস্থান ঠিক কী? তা এখনও স্পষ্ট নয়।
প্রতি মুহূর্তে নাটকীয়ভাবে মোড় নিচ্ছে রাজ্য রাজনীতির নানান পরিস্থিতি। সংবিধান বাঁচানোর লড়াইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্না মঞ্চে অবস্থান থেকে সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে কলকাতা পুলিশের ধস্তাধস্তি , সমস্তটাই এখন জাতীয় রাজনীতির মূল আলোচ্য বিষয়। উত্তপ্ত বাংলায় এদিন একাধিক কর্মসূচি নিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। তবে কংগ্রেসের অবস্থান ঠিক কী? তা এখনও স্পষ্ট নয়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেট্রো চ্যানেলে ধর্না শুরু করতেই বিজেপি বিরোধী জোটের একাধিক নেতা নেত্রী তাঁকে ফোন করে সমর্থন জানান। এই তালিকায় রয়েছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু, রয়েছেন মায়াবতী। এছাড়াও কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেলের পোন আসার পরই , মমতাকে ফোন করেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। রাহুল এদিন মমতার ধর্না ও সিবিআইকাণ্ডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবস্থানকে সমর্থন জানান। অন্যদিকে, কংগ্রেসের দাপুটে রাজ্য় নেতা অধীর চৌধুরীর কণ্ঠে এদিন উল্টো সুর শোনা গেল।
অধীর চৌধুরী জানান, 'নিজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী হয়ে থাকলাম।' বাংলার এই ডাকসাইটে নেতার দাবি, 'পুলিশ কমিশনতার নির্বাচন কমিশনের বৈঠকে গরহাজির। অথচ দিদির সঙ্গে বইমেলায় হাজির। তাঁর অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করলে উত্তর দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলায় প্রতি নির্বাচনে সন্ত্রাস হচ্ছে। লোক মারা যাচ্ছে । মুখ্যমন্ত্রী তাতে বিচলিত নন।কিন্তু রাজীব কুমারের বাড়িসিবিআই গেলে তিনি বিচলিত।' অধীর চৌধুরীর দাবি, সিবিআই তদন্ত যেদিকে এগোচ্ছে তাতে তৃণমূলের অনেক বড় নাম গ্রেফতার হতে পারে। পাশাপাশি অধীর চৌধুরীর দাবি,'রাজীব কুমারের জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর ঘুম হচ্ছে না। তাঁকে বাঁচানোর জন্য ধর্নায় বসেছেন। এরজন্য কেন্দ্রীয় সরকারের উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।'