দলে গোষ্ঠীকোন্দল চূড়ান্ত! ২০২১-এর লড়াইয়ের আগেই 'চূড়ান্ত' সিদ্ধান্ত মান্নানের
কংগ্রেস (congress) আছে কংগ্রেসেই। ক্ষমতা থেকে দূরে থাকলেও দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে গোষ্ঠীকোন্দল। যার জেরে বিরক্ত বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান (abdul mannan) । ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে তিনি আর প্রতিদ্বন
কংগ্রেস (congress) আছে কংগ্রেসেই। ক্ষমতা থেকে দূরে থাকলেও দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে গোষ্ঠীকোন্দল। যার জেরে বিরক্ত বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান (abdul mannan) । ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে তিনি আর প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। তবে এব্যাপারে তাঁর সিদ্ধান্ত বদল করতে নেমেছেন ঘনিষ্ঠরা।
অনুব্রতের মাথায় রুপোর মুকুটের কারণ বললেন দিলীপ! 'পগারপার' নিয়ে পাল্টা দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি
চিরকাল কংগ্রেসেই
প্রদেশ কংগ্রেসের অনেক নেতাই দলবদল করেছেন। পরে ফিরেছেন কংগ্রেসে। কিন্তু আবদুল মান্নান আজীবন কংগ্রেসিই থেকে গিয়েছেন। যে কংগ্রেসকে অবলম্বন করে তিনি রাজনীতি শুরু করেছিলেন, সেই কংগ্রেসেই রাজনীতি শেষ করবেন বলেই জানিয়েছেন বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা।
অধীরকে সভাপতি চেয়েছিলেন
সম্প্রতি প্রয়াত হয়েছেন সোমেন মিত্র। তারপর অধীর চৌধুরীকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি চেয়ে হাইকমান্ডকে চিঠি লিখেছিলেন হুগলির মাস্টারমশাই। সেই অধীর চৌধুরীরেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি করে কংগ্রেস হাইকমান্ড। দায়িত্ব পেয়ে নিজের মতো করেই সংগঠন সাজিয়েছেন অধীর চৌধুরী। প্রদেশ কংগ্রেসে গুরুত্ব দিয়েছেন মুর্শিদাবাদে তাঁর ঘনিষ্ঠদের।
বর্তমান নেতৃত্বের ওপরে বিরক্তি
বর্তমানে প্রদেশ কংগ্রেস যেভাবে চলছে, তাতে সংবাদ মাধ্যমের কাছে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন আবদুল মান্নান। বলেছেন, আর কতদিন, অনেকদিন তো হল। বিরোধী দলনেতার মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকলেও তাঁকে অন্ধকারে রেখেই প্রদেশ নেতৃত্বের তরফে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। যা তাঁর হুগলি জেলার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তবে বিরক্তি প্রকাশ করলেও এব্যাপারে সেরকম কোনও মন্তব্য করেননি বর্ষীয়ান এই নেতা। তবে এখন তিনি আর দলের রাজ্য দফতর বিধানভবনের দিকে যান না। খুব দরকারে ফোনে কথা হয় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর সঙ্গে, কেননা মুখ দেখাদেখি কার্যত বন্ধ। সূত্রের খবর অনুযায়ী, নিজের জেলা হুগলির সংগঠনের পাশাপাশি একাধিক ইস্যুতে বিরোধী তৈরি হয়েছে প্রদেশ সভাপতির সঙ্গে। শোনা যাচ্ছে হুগলির ক্ষেত্রে দলের দায়িত্বপ্রাপ্তদের তৈলিকা তৈরির সময় তাঁর সঙ্গে কোনও কথা বলা হয়নি।
স্বাচ্ছন্দবোধ বাম নেতৃত্বের সঙ্গে
রাজ্যে বামেদের সঙ্গে জোট তৈরিতে যেমন উৎসাহী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি, তাঁর থেকে কোনও অংশেই কম নন আবদুল মান্নান। তাঁর আহ্বান, জোটবদ্ধ কংগ্রেসকে বামেদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করতে হবে। তিনি যেমন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর সঙ্গে জেলা সফরে যান, ঠিক তেমনই তাঁর (সুজন) সঙ্গেই সাংবাদিক সম্মেলনও করেন। আর ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন, ২০২১-এর নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না। বিষয়টি নিয়ে এখনও কংগ্রেস হাইকমান্ডকে এখনও জানাননি তিনি। তবে বিরোধী দলনেতা যে সিদ্ধান্তে অনড় থাকবেন, সে সম্পর্কে ইঙ্গিতও দিয়েছেন।