মোহভঙ্গ তৃণমূলে! তবু ‘ঘরে ফেরা’দের ধরে রাখতে পারছে না কংগ্রেস, ব্যর্থতার দায় কার
কংগ্রেসই তবে সত্যিই শেষ! পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের অবস্থা ক্রমেই শোচনীয় রূপ নিচ্ছে। একদিন দিয়ে তৃণমূল ভেঙেই চলেছে কংগ্রেসকে, অন্যদিক দিয়ে বিজেপিও কংগ্রেস ভাঙিয়ে সংখ্যালঘু ভোট-ব্যাঙ্ক বাড়াতে ময়দানে নামেন
কংগ্রেসই তবে সত্যিই শেষ! পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের অবস্থা ক্রমেই শোচনীয় রূপ নিচ্ছে। একদিন দিয়ে তৃণমূল ভেঙেই চলেছে কংগ্রেসকে, অন্যদিক দিয়ে বিজেপিও কংগ্রেস ভাঙিয়ে সংখ্যালঘু ভোট-ব্যাঙ্ক বাড়াতে ময়দানে নেমে পড়ল। হাইকম্যান্ড যে পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেসকে সেভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে না তার প্রমাণও মিলেছে। ওয়ার্কিং কমিটিতে একজনও বাংলার মুখ নেই।
এই অবস্থায় অধীর চৌধুরী বলেছেন, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান না, কংগ্রেসের কোনও অস্তিত্ব থাকুক বাংলায়। তাই ভয় দেখিয়ে কংগ্রেস বিধায়কদের ভাঙিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। নানা মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেওয়া হচ্ছে। হয় তৃণমূলে এসো, নতুবা স্থান হবে গারদের ওপারে। এই অবস্থায় কম দৃঢ়চেতা নেতারা তৃণমূলে যোগ দিতে বাধ্য হচ্ছেন। তারপর আছে লোভ প্রদর্শন।
অধীর চৌধুরীর এই অভিযোগকে মান্যতা দিয়েও রাজনৈতিক মহলের একাংশ প্রশ্ন তুলেছে, তাহলে যাঁরা তৃণমূলে মোহভঙ্গ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন কংগ্রেসে, তাঁদেরকে ধরে রাখতে পারছেন না কেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। এটা কি প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের ব্যর্থতা নয়? কেন হুমায়ূন কবীর, আবদুল করিম চৌধুরীদের মতো প্রাক্তনীরা কংগ্রেস থেকে মুখ ফিরিয়ে বিজেপির দিকে ছুটে যাচ্ছেন?
কেনই বা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা কংগ্রেসের সভাপতি নীলাঞ্জন রায় অধীর চৌধুরীকে নেতা মেনেও কংগ্রেস ছেড়ে দলবল নিয়ে পাড়িয় দিলেন গেরুয়া শিবিরে? কংগ্রেসপ্রেমীরা তো প্রশ্ন করবেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে। নীলাঞ্জনবাবুর দাবি, অধীর চৌধুরী আমার নেতা চিলেন, আছেন, থাকবেন। তিনি তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ভালো নেতৃত্ব দিয়েছেন, কিন্তু হাইকম্যান্ড তাঁর নেতৃত্বের দাম দেয়নি। কংগ্রেসে থেকে আর তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করা সম্ভব নয় বলেই বিজেপিতে যোগ। তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের মাখামাখির তিনি ঘোর বিরোধী।
[আরও পড়ুন:তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্কে চুপিসারে থাবা মুকুল-দিলীপদের! সংখ্যালঘু 'মুখ' বাড়ছে বিজেপিতে]
এই অভিযোগ যগি সত্যি হয়, তাহলে তো কংগ্রেসের অস্তিত্ব শেষ হতে বসেছে রাজ্যে। অধীর চৌধুরীও যদি এই দাবি তুলে কংগ্রেস ছাড়েন, তাঁর অনুগামীরাও যদি কংগ্রেস ছাড়তে থাকেন এই দাবিতে, কংগ্রেস শেষ। অধীরবাবুর কথাই তখন সত্যি হবে, তৃণমূল নেত্রীই বিজেপিকে বাড়াচ্ছেন। তিনি চাইছেন না বাংলায় কংগ্রেস থাকুক। তিনি চান, বাংলায় তৃণমূল আর বিজেপিই রাজ করুক।
[আরও পড়ুন:তৃণমূল নেত্রী হতাশ, তারিফ পাচ্ছেন না দলেই! কটাক্ষে আর যা বললেন বাবুল, দেখে নিন ভিডিও]