বাম-কংগ্রেস জোট ভাঙতেই কর্মীদের উদ্দীপনা চরমে, রায়গঞ্জে দীপার প্রচারে জনতার ঢল
রাজ্যের ৪২ আসনেই প্রার্থী দিচ্ছে প্রদেশ কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র সাংবাদিক সম্মেলনে করে এ কথা জানাতেই উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রেসে খুশির হাওয়া উঠেছিল।
রাজ্যের ৪২ আসনেই প্রার্থী দিচ্ছে প্রদেশ কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র সাংবাদিক সম্মেলনে করে এ কথা জানাতেই উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রেসে খুশির হাওয়া উঠেছিল। সেই খুশির হাওয়া ঝড়ে পরিণত হল সোমবার রাতে রায়গঞ্জে দীপা দাশমুন্সির নাম কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকায় স্থান পেতে। তারই রেশ পড়ল মঙ্গলবার কংগ্রেস প্রার্থীর প্রচারে।
এই রায়গঞ্জ লোকসভা আসনটি কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত। কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকদের দাবি, তাঁদের প্রার্থী দীপা দাসমুন্সীর জয় নিশ্চিত। আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর নাম দিল্লি থেকে ঘোষণা হতেই প্রচার শুরু করেছেন কংগ্রেস কর্মীরা। দীপা দাসমুন্সীর সমর্থনে দেওয়াল লিখন শুরু হয়ে গিয়েছে।
জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, দীপা দাসমুন্সী ২০০৯ সালে রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। সেবার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিএম প্রার্থী বীরেশ্বর লাহিড়ীকে ১ লক্ষ ৫ হাজার ভোটে পরাজিত করেছিলেন। ২০১৪ সালে মাত্র ১৬০০ ভোটে হেরে যান সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিমের কাছে।
এবার রাহুল গান্ধীর নির্দেশে রায়গঞ্জ আসনটি ছেড়ে দিতে সম্মত হয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু কংগ্রেসের শক্ত গড়ে কর্মীরা মুষড়ে পড়েছিলেন। এরপর কংগ্রেস একা লড়ার সিদ্ধান্ত নিতেই কর্মীদের মধ্যে উন্মাদনা শুরু হয়ে যায়। আসন রফায় অসন্মত হয়ে রাজ্যের ৪২ টি আসনেই একা লড়াইযের সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর রায়গঞ্জ দীপা দাসমুন্সীর সমর্থনে প্রচার শুরু করে দেন জেলা কংগ্রেস কর্মীরা।
রায়গঞ্জের বিধায়ক মোহিত সেনগুপ্ত আরও জানান, প্রয়াত কংগ্রেস নেতা প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সীর স্বপ্ন ছিল রায়গঞ্জে একটি হাসপাতাল তৈরি করবেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন অপূর্ণই রয়ে গিয়েছে। এবার এখানে তিনটি দলের সঙ্গে লড়াই। প্রার্থী দিয়েছে বামফ্রন্ট, তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপিও প্রার্থী দেবে। তা সত্ত্বেও স্থির বিশ্বাস, রায়গঞ্জের মানুষ কংগ্রেসকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন।