তৃণমূলের সঙ্গে জোট বিতর্কে আড়াআড়ি ভাগ কংগ্রেস! এক পরিবারেই স্পষ্ট বিভাজন
লোকসভা কি জোট হবে কংগ্রেস-তৃণমূলের? এখনও দোটানায় প্রদেশ কংগ্রেসের নেতা-নেত্রীরা। একদল তৃণমূলের সঙ্গে জোটের পক্ষে, একদল বিপক্ষে। প্রাক নির্বাচনী জোটে যেতে চায় না কংগ্রেসের বড় অংশ।
লোকসভা কি জোট হবে কংগ্রেস-তৃণমূলের? এখনও দোটানায় প্রদেশ কংগ্রেসের নেতা-নেত্রীরা। একদল তৃণমূলের সঙ্গে জোটের পক্ষে, একদল বিপক্ষে। প্রাক নির্বাচনী জোটে যেতে চায় না কংগ্রেসের বড় অংশ। সোমেন মিত্র-অধীর চৌধুরীরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করার পক্ষপাতী। তবে কেউ কেউ তৃণমূলের সঙ্গে সখ্যতা রেখে চলতেই বেশি পছন্দ করছেন।
রাহুলের দূত, বিভাজন প্রদেশে
এরই মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্রিগেড সমাবেশে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী দূত পাঠানোর পরিকল্পনা নিয়েছেন। জাতীয় রাজনীতির স্বার্থে তিনি যখন মমতার সভায় দূত পাঠাচ্ছেন, তখন প্রদেশের একটা পক্ষের সহমত রয়েছে। সোমেন-অধীররা তৃণমূলের সাহচর্য না চাইলেও মালদহ কংগ্রেসের একটা বড় অংশ তৃণমূলের সঙ্গে ভোটে লড়ার পক্ষপাতী।
কংগ্রেসের এক সভায় দুই মত
মালদহের কোতোয়ালি ভবনে কংগ্রেসের একটি আলোচনা সভায় পরস্পর-বিরোধী দুটি মত উঠে এসেছে। বাবা-ছেলের মতানৈক্য প্রকাশ্যে এসে পড়েছে কংগ্রেস-তৃণমূল জোট বিতর্কে। দক্ষিণ মালদহের কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী আগামী লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের সঙ্গে জোট চাইছেন। সুজাপুরের বিধায়ক ঈশা খান চৌধুরীর বিপরীত মত পোষণ করছেন।
কেন জোট, কেন নয়
সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী বা ডালুবাবুর মতে, নিজেদের আসন ধরে রাখতে গেলে তৃণমূলের সঙ্গে জোট জরুরি। কিন্তু ডালুবাবুর ছেলে তা চান না। তিনি চান, হারতে হয় হবে। কিন্তু তৃণমূলের সঙ্গে নয়। কারণ গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে শসাকদল যেভাবে লুঠপাট চালিয়েছে, তাতে তৃণমূলের সঙ্গে গেলে কংগ্রেসের সাধারণ কর্মীদের কাছে ভুল বার্তা যাবে।
তিন পন্থা, কোন পথ
মালদহে কংগ্রেসের এই মতপার্থক্যই এখন প্রদেশের কংগ্রেসের কাছে কাঁটা। কংগ্রেস এখন কোন পথে হাঁটবে, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে। তৃণমূলের হাত ধরা, নাকি সিপিএমের সঙ্গে জোট, নাকি একলা চলো- লোকসভা নির্বাচনের লড়াইয়ে কোন পথে যাবে কংগ্রেস, তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে হাইকম্যান্ড।