একুশের ভোটে ১২০-১৩০ আসনের দাবি কংগ্রেসের, বামেদের সঙ্গে জোটের রফাসূত্রে জট
একুশের ভোটে ১২০-১৩০ আসনের দাবি কংগ্রেসের, বামেদের সঙ্গে জোটের রফাসূত্রে জট
বাম-কংগ্রেসের আসন রফা নিয়ে জট কাটল না দীর্ঘ আলোচনার পরও। একুশের বিধানসভা নির্বাচন এগিয়ে আসছে এবার আসন সমঝোতা নিয়ে কালবিলম্ব অব্যাহত। রবিবার বাম ও কংগ্রেসের নেতৃত্বের বৈঠকের পরও রফা সূত্র অধরা রয়ে গেল। কংগ্রেসের দাবির সঙ্গে সম্মত হতে পারেনি বামেরা, তাই ঝুলে রইল জোট-ভাগ্য।
চলতি মাসেই আসন রফার কাজ সম্পূর্ণ হবে
দু'দলের নেতৃত্বই চাইছে আরও কয়েকবার কথা বলেই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে চলতি মাসেই আসন রফার কাজ তাঁরা সেরে ফেলবেন বলে জানিয়েছেন। বৈঠক শেষে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী ও বামফ্রন্ট চেয়ারম্যানের গলায় যে সুর শোনা গেল, তাতে স্পষ্ট রফা সূত্র বের করা নিয়ে ব্যাপক টানাপোড়েন চলেছে।
১২০-১৩০ আসনের দাবি করেছে কংগ্রেস!
অধীর চৌধুরী জানান, কংগ্রেস তাঁদের দাবি জানিয়েছে, তা নিয়ে আলোচনা হবে। সেই আলোচনা শুরু হয়েছে। এটা একটা পদ্ধতি। বিশেষ সূত্রের খবর, ১২০-১৩০ আসনের দাবি করেছে কংগ্রেস। তাতে সম্মত হয়নি বামফ্রন্ট। ফের বাম-কংগ্রেস ২৫ জানুয়ারি বৈঠকে বসবে। তারপর ২৮ জানুয়ারি চূড়ান্ত আসন সমঝোতার ঘোষণা হতে পারে।
দলের সংগঠন ও জন সমর্থনের পকেট বুঝেই আসন
প্রদেশ কংগ্রেসের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, দলের সংগঠন ও জন সমর্থনের পকেট বুঝেই এবার বামেদের কাছে আসন দাবি করবে কংগ্রেস। সেই ফর্মুলা অনুযায়ী তিন জেলা- মুর্শিদাবাদ, মালদহ ও উত্তর দিনাজপুরের অধিকাংশ আসন দাবি করে কংগ্রেস। আর এই তিন জেলা নিয়েই সমস্যা তৈরি হয়েছে।
১৫২-তে থেকে কমিয়ে ১২০, কংগ্রেসের দাবি
প্রদেশ কংগ্রেস ১২০-১৩০ আসনে প্রার্থী দিতে চায় এবার। বামফ্রন্ট বলছে, এই সংখ্যা গতবারের তুলনায় ৩০টি বেশি। বামেদের সঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেসের আলোচনায় তা নিয়েই বিতর্ক বাধে। কংগ্রেসের জেলা সভাপতিরা শনিবার যে রিপোর্ট দিয়েছে, তা যোগ করলে কংগ্রেসের আসন সংখ্যা ১৫২-তে দাঁড়ায়। তা থেকে কাটছাঁট করে আসন সংখ্যা ১০০-র সামান্য উপরে রাখে কংগ্রেস।
তিন-চারটি জেলায় কংগ্রেস শক্তিশালী, সেখানেই প্রার্থী
কংগ্রেসের দাবি, আমরা চাইব দু-পক্ষের জন্য সম্মানজনক শর্তে আসন রফা হোক। কংগ্রেসের দাবি তিন-চারটি জেলায় কংগ্রেস শক্তিশালী, সেই জেলাগুলিতে বেশিরভাগ আসনেই তাঁরা লড়বে। বাম নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতেই তা চূড়ান্ত করতে চাইছে কংগ্রেস। আলোচনার ভিত্তিতে আসন রফার প্রক্রিয়া এগিয়ে যাবে, বলে বৈঠক শেষে তাঁদের ধারণা।
বাম-কংগ্রেসের আসনরফার বৈঠকে ছিলেন যাঁরা
আবদুল মান্নান, প্রদীপ ভট্টাচার্য, নেপাল মাহাতোকে সঙ্গে নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভপতি অধীর চৌধুরী বামাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বামেদের সঙ্গে। বামেদের পক্ষে ছিলেন বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র ও তিন শরিকের পক্ষ থেকে নরেন চট্টোপাধ্যায়, স্বপ্ন বন্দ্যোপাধ্যায় ও মনোজ ভট্টাচার্য। ২০১৬ সালে যে যেখানে জিতেছিল, সেখানে প্রার্থী দেবে- এটাই ছিল প্রাথমিক শর্ত। তা দু-পক্ষই মেনে নিয়েছে। এখন সংখ্যা নিয়েই জটিলতা।
নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাল্টা! দক্ষিণ কলকাতায় প্রথম পদযাত্রা শুভেন্দু অধিকারীর