শুভেন্দুর অবস্থা হবে কুণাল ঘোষের মতোই, বললেন মহম্মদ সেলিম
আরও পড়ুন: কে কীভাবে ভোটে জিতেছে জানি, দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে মন্তব্য শুভেন্দুর
রবিবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরীকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয়। অধীরবাবু বলেন, "রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের উত্থান হয়েছিল নন্দীগ্রাম আন্দোলনের জেরে। আর সেই আন্দোলনের সেনাপতি ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এটা স্বীকার না করলে সত্যের অপলাপ হবে। এমন দক্ষ সংগঠক যে কোনও দলের সম্পদ। অথচ নিজের দলে যোগ্য মর্যাদাটুকু পেলেন না।" সিপিএম নেতা তথা রায়গঞ্জের সাংসদ মহম্মদ সেলিম বলেছেন, "তৃণমূল কংগ্রেসে একটাই রুল এবং রুলিং। সেটা হল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে এখন যেমন গণতন্ত্রের বালাই নেই, তেমনই শাসক দলেও নেই। শুভেন্দুবাবু বরং কুণাল ঘোষের মুখটা মনে করুন। এখনই সতর্ক না হলে ওঁর অবস্থাও কুণাল ঘোষের মতোই হবে।" বিজেপি নেতা তথাগত রায় বলেছেন, "নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় যখন ওখানে গিয়েছিলাম, দেখেছি কীভাবে উনি মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছেন। শিশির অধিকারীর ছেলে বলে নয়, আজকে উনি বিখ্যাত হয়েছেন নিজের জোরে। দক্ষ সংগঠক, মিশুকে ছেলে। যে ব্যবহার ওঁর সঙ্গে করা হল, তা দুভার্গ্যজনক।"
'দক্ষ সংগঠক' বর্ণনা করে সহানুভূতি জানালেন অধীর চৌধুরী, তথাগত রায়ও
যদিও এ সব তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের সদ্যনিযুক্ত তৃণমূল জেলা কার্যকরী সভাপতি অখিল গিরি। তিনি বলেছেন, "শুভেন্দু অধিকারী কে? আসল জনপ্রিয়তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অধিকারী সাম্রাজ্য বলে কিছু নেই। সবই গল্প। যদি শুভেন্দুবাবুর এতই ক্ষমতা, তা হলে নিজস্ব প্রতীকে অন্তত একটা গ্রামসভার ভোটে জিতেই দেখান! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া আর কেউ কিছু নয়।"
অখিল গিরির এমন মন্তব্যের সঙ্গে একমত নন পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূল কংগ্রেসের সিংহভাগ নেতাই। নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের সভাপতি মেঘনাদ পাল বলেছেন, "যে পদ্ধতিতে শুভেন্দুবাবুকে সরানো হল, তাতে নন্দীগ্রামের মানুষ ভেঙে পড়েছে।" নন্দকুমারের বিধায়ক সুকুমার দে বলেন, "অখিল গিরিকে চিনি না। শুভেন্দু অধিকারীই আমাদের নেতা। আমরা ওঁর নেতৃত্বেই কাজ করব। আমরা দাবি করছি, ওঁকে যোগ্য সম্মান ফিরিয়ে দিতে হবে।"