নজরে বাংলার ভোট, লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা বদল, অধীরকে সরিয়ে কাকে আনলেন সোনিয়া
নজরে বাংলার ভোট, লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা বদল, অধীরকে সরিয়ে কাকে আনলেন সোনিয়া
বাংলায় ভোট আসন্ন তাই আগে থেকেই অধীর চৌধুরীরে বড় দািয়ত্ব থেকে অব্যহতি দিল কংগ্রেস হাইকমান্ড। লোকসভায় দলনেতার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে। তাঁর জায়গায় লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা হিসেবে বহাল করা হয়েছে রজনীত সিং বিট্টুকে। তড়িঘড়ি এই সিদ্ধান্তের কারণ বঙ্গের বিধানসভা ভোট। বাজেট অধিবেশনে তেমন সময় দিতে পারবেন না অধীর চৌধুরী। এসে সমস্যা হচ্ছিল পার্টির সেকারণেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে কংগ্রেস সূত্রে খবর।
অধীরকে নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত
একদিকে বাংলার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি, অন্যদিকে লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা। দুই বড় গুরুদািয়ত্ব রয়েছে অধীর চৌধুরীর উপর। একুশের ভোট এগিয়ে আসায় অধীরকে চাপ মুক্ত রাখতে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস হাইকমান্ড। লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতার পদ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে অধীর চৌধুরীকে। বাংলার ভোটের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
লোকসভায় কংগ্রেসের নতুন দলনেতা
লোকসভায় কংগ্রেসের নতুন দলনেতা নির্বাচন করা হয়েছে। রবনীত সিং বিট্টুকে অধীরের জায়গায় নির্বাচন করেছে কংগ্রেস হাইকমান্ড। তিনবারের জয়ী কংগ্রেস সাংসদ বিট্টু। ২০০৯ সালে প্রথম আনন্দপুর সাহিব লোকসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হয়ে আসেন তিনি। তারপর লুধিয়ানা থেকে পর পর ২ বার ২০১৫ ও ২০১৯ সালে নির্বাচিত হয়ে লোকসভায় আসেন।
নজরে কৃষক বিক্ষোভ
রাজনৈতিক মহলের দাবি কৃষক বিক্ষোভের কথা মাথায় রেখেই এই কৌশলী বদল করেছেন রাহুল -সোনিয়া। মূলত পাঞ্জাব- হরিয়ানার কৃষকরাই মোদী সরকারের কৃষি আইনের বিরোধিতায় আন্দোলন করে চলেছেন। এই পরিস্থিতিত লোকসভায় পাঞ্জাবের তোনও জনপ্রতিনিধিকে দলনেতার আসনে বসালে সংসদে বিরোধিতা আরও জোরদার হবে। সেকারণে একেবারে হিসেব কষে সুযোগের সদব্যবহার করেছে কংগ্রেস হাই কমান্ড।
যুব নেতাদের কদর
কংগ্রেসে বরাবরই নবীন প্রবীণ দুই শিবির রয়েছে। রাহুল গান্ধী সক্রিয় হওয়ার পর সেই বিরোধ আরও বেড়েছিল। রাহুল নিজে নবীন নেতাদের সামনের সারিতে নিয়ে আসার জন্য উদ্যোগী হয়েছিলেন। এই নিয়ে দলের বর্ষিয়ান অভিজ্ঞ নেতাদের সঙ্গে প্রবল বিরোধ তৈরি হয়েছিল তাঁর। সেই নবীন প্রবীণের লড়াইয়ের জেরেই ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে অস্তিত্বহীন হতে বসেছিল কংগ্রেস। তারপরেই হাল ছেড়ে গিয়ে কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি।
কে কোথায় এগিয়ে, একুশের নির্বাচনের আগে ঝাড়গ্রামের সাত কেন্দ্রের হালহকিকৎ