প্রধান শত্রু যখন এক, ফের একবার কংগ্রেস-তৃণমূল জোট গঠনের তোড়জোড়
২০২১ বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে এই মুহূর্তে রাজ্যের দুই বড় শক্তি তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি। বসে নেই বর্তমানে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসও।
২০২১ বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে এই মুহূর্তে রাজ্যের দুই বড় শক্তি তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি। বসে নেই বর্তমানে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসও। তবে কংগ্রেস ২০২১-কে সামনে রেখে অন্য চাল চেলে রাখল। কংগ্রেস চাইছে প্রধান শক্র বিজেপিকে আটকাতে তৃণমূলের সঙ্গে রাজ্যে হাত মেলাতে।
রাহুল-কল্যাণ বৈঠক
সম্প্রতি দিল্লিতে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক প্রস্থ মিটিং হয়। আধঘণ্টার মিটিংয়ে তৃণমূলের লোকসভার প্রধান হুইপ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তিনি জানতে চান লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যে তৃণমূল কাকে সবথেকে বড় শত্রু হিসেবে দেখেছিল। তা জানার পরই রাহুল কংগ্রেস ও তৃণণূলের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর কথা বলেন।
মমতা-সোনিয়া বৈঠকের প্রস্তাব
এ ব্যাপারে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছাপ্রকাশও করেন। তিনি বলেন সমন্বয় সাধনের জন্য তৃণমূল সুপ্রিমো ও কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকের প্রয়োজন। শুধু রাহুল ও কল্যাণের মধ্যেই নয়, আর এক প্রস্থ আলোচনা হয় তৃণমূলের লোকসভা দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের সঙ্গেও।
২০০৯ থেকে ২০১৩ জোট-সাফল্য
উল্লেখ্য, কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেস ২০০৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে জোট গড়ে লড়াইয়ের অঙ্গীকার করেছিল। সেই জোটই যেমন দিল্লিতে দ্বিতীয় ইউপিএ সরকার গড়েছিল, একইভাবে জোটবদ্ধ হয়ে সিপিএমের নেতৃত্বাধীন ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট সরকারকে গদিচ্যুত করেছিল। এইউ সম্পর্ক অটুট ছিল ২০১৩ সাল পর্যন্ত। তারপরই তা ভেঙে যায়।
২০১৯-এ ব্যর্থ, জোট প্রস্তাব
পুনরায় তারা জোটবদ্ধ হয়ে লড়াই করতে আগ্রহী। এই মুহূর্তে দেশে ও রাজ্যে দুই দলেরই প্রধান শক্র বিজেপি। বিজেপিকে আটকাতে ২০১৯ নির্বাচনের আগে বিরোধীরা একজোট হওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তা সে অর্থে দানা বাঁধেনি। পর্যুদস্ত হতে হয়েছে। তাই এবার আগে থেকে জোটবদ্ধ হয়ে লড়াইয়ে নামতে চাইছে দুই দল।