সূচপুর গণহত্যায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তের আত্মীয় দলীয় প্রার্থী!এই নেতার অভিযোগে অনুব্রত গড়ে চাঞ্চল্য
নানুরে পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রার্থী নিয়ে কোন্দল। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির অভিযোগ, এবার নানুরে পঞ্চায়েতে প্রার্থী করা হয়েছে খুনে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের পরিবার থেকে।
নানুরে পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রার্থী নিয়ে কোন্দল। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির অভিযোগ, এবার নানুরে পঞ্চায়েতে প্রার্থী করা হয়েছে খুনে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের পরিবার থেকে। কিন্তু শহিদ পরিবারগুলিকে মর্যাদা দেওয়া হয়নি। তৃণমূল নেতার অভিযোগ, এককালে সিপিএম-এর হার্মাদরা এখন তৃণমূলের হয়ে এলাকা দাপিয়ে বেরাচ্ছে।
নানুরের সূচপুরে গণহত্যার অভিযুক্তরাই রাজত্ব করছে। এমনটাই অভিযোগ করলেন তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি আব্দুল খালেক। ২০০০ সালের গণহত্যার প্রধান সাক্ষী তিনি।
২০০০ সালের ২৭ জুলাই বীরভূম জেলার নানুর থানা এলাকার সূচপুরে এই গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল। এগারো জন ভূমিহীন ক্ষেতমজুর হত্যা করা হয়েছিল। অভিযুক্ত ছিল স্থানীয় সিপিএম সদস্যরা।
গণহত্যার পরেই সিপিএম নেতৃবৃন্দ দাবি করেন নিহতেরা ডাকাত। কিছুদিন পরে সিপিএম নেতারা মেনে নেন যে নিহতেরা ক্ষেতমজুর। কিন্তু এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তাঁদের কর্মীদের জড়িয়ে থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে তাঁরা এই ঘটনার কারণ হিসেবে জমিসংক্রান্ত বিবাদকে দায়ী করেন। এই অঞ্চলের তৎকালীন সাংসদ সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় নিহতদের ভাড়াটে গুন্ডা, ডাকাত ও কুখ্যাত সমাজবিরোধী হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন। যদিও পরবর্তী সময়ে অনিল বিশ্বাস ও বিমান বসু নানুর হত্যাকাণ্ড নিয়ে নিন্দা করেছিলে।
২০০৫ সালের ১২ মে নানুর হত্যাকাণ্ডের প্রধান সাক্ষী আব্দুল খালেক ও তাঁর দেহরক্ষী দুষ্কৃতীদের আক্রমণে আহত হন। অভিযোগ ওঠে সেই সিপিএমের বিরুদ্ধেই।
নানুর একসময় বীরভূম জেলায় সিপিএম-এর শক্ত ঘাঁটি বিবেচিত হলেও নানুর গণহত্যার পর পরিস্থিতির দ্রুত পরিবর্তন ঘটে। তৃণমূল কংগ্রেস এই অঞ্চলে নিজেদের মাটি শক্ত করতে শুরু করে। আর এখন সেখানে তৃণমূলের বিরোধী বলতে কেউ নেই।
নানুর হত্যাকাণ্ডের প্রধান সাক্ষী আব্দুল খালেক এখন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি। তবে তিনি তৃণমূলের একাংশের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলছেন পঞ্চায়েতে প্রার্থী পদ নিয়ে।