মিটিং-মিছিল রোড শোয়ের অনুমতি বাতিলের নির্দেশ! বিপর্যয় আইনে মামলার হুঁশিয়ারি কমিশনের
রাজ্যে ক্রমশ বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ১৮ হাজার মানুষ বাংলায় সংক্রমিত হয়েছেন। এই অবস্থায় একমাস পুর নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার দাবি বিজেপি সহ বিরোধীদের। কার্যত বিরোধীদের সঙ্গে 'সহমত' তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্
রাজ্যে ক্রমশ বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ১৮ হাজার মানুষ বাংলায় সংক্রমিত হয়েছেন। এই অবস্থায় একমাস পুর নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার দাবি বিজেপি সহ বিরোধীদের। কার্যত বিরোধীদের সঙ্গে 'সহমত' তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডও। তাঁর মতে, আগামী দুমাস কিছুই করা উচিৎ নয়।
যদিও এটা তাঁর ব্যক্তিগত মত বলে দাবি অভিষেকের। যদিও এহেন বক্তব্য ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। অন্যদিকে পরিস্থিতি বুঝে ফের কোভিড বিধিতে বদল করল নির্বাচন কমিশন।
ক্রমশ সংক্রমন বাড়ছে। সেখানে যে কোনও ধরনের জমায়েত আরও বিপদ ডেকে আনতে পারে। আর সেদিকে তাকিয়েই ডিজিটাল প্রচারের নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের। একই সঙ্গে জমায়েত এরিয়া চলার নির্দেশ দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে সমস্ত রাজনৈতিকদলের কাছে এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা পাঠিয়েও দেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে সভা, মিটিং মিছিল, রোড-শো বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিশন জানিয়েছে, বড় মিছিল, র্যালি করার জন্যে কোনও রাজনৈতিক দল যদি অনুমতি নিয়ে থাকে তাহলে তা বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলাশাসককে এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে বারবার কমিশনের তরফে প্রার্থীদের করোনা বিধি মেনে চলার কথা বলা হলেও তা মানা হচ্ছে না। এমনটাই অভিযোগ। অনেকেই বেঁধে দেওয়া কোভিড বিধিকে অমান্য করেই প্রচার করছেন বলে অভিযোগ। বিজেপি হোক কিংবা তৃণমূল। কার্যত ছবিটা একই। সব জায়গাতেই বিধি মেনে চলছে সমস্ত কাজ। আর সেখানে দাঁড়িয়ে ফের একবার হুঁশিয়ারি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। জারি করা নির্দেশিকাতে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, বিধি না মানলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি বিপর্যয় আইনে মামলা রুজু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে চার পুরসভায় ভোট নিয়ে কড়া রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
উল্লেখ্য, গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে কমিশন। সেখানে দাঁড়িয়ে শুক্রবারই বিধিতে বেশকিছু বদল আনে। আউটডোরে ৫০০ জনের জমায়েত কমিয়ে ২৫০ তে নিয়ে আসা হয়। এর বেশি লোকলে নিয়ে কোনওসভা করা যাবে না।
যদিও শেষ পর্যন্ত এই ভট নিয়ে কি হয় সেদিকে তাকিয়ে গোটা রাজ্য। কারন ইতিমধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়েছে ভোট পিছিয়ে দেওয়া নিয়ে। যদিও সেখানে কমিশন জানিয়ে দিয়েছে যে ভোট পিছানো হচ্ছে না। যদিও আদালত এই বিষয়ে স্পষ্ট কোনও নির্দেশ দেয়নি। শেষমেশ আদালত কি নির্দেশ দেয় সেদিকেই নজর রয়েছে সবপক্ষের।