মরশুমের শীতলতম দিন পৌষ সংক্রান্তি, কাঁপছে বাংলা
পৌষ সংক্রান্তিতে মরশুমের শীতলতম দিন। কাঁপছে গোটা বাংলা। এক ধাক্কায় কলকাতার পারদ নামল ২ ডিগ্রি।
কলকাতা, ১৪ জানুয়ারি : পৌষ সংক্রান্তিতে মরশুমের শীতলতম দিন। কাঁপছে গোটা বাংলা। এক ধাক্কায় কলকাতার পারদ নামল ২ ডিগ্রি। শুক্রবার আলিপুর হাওয়া অফিসের রিপোর্ট অনুযায়ী শহরের পারদ ছিল ১৩.৯। শনিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.৯। স্বাভাবিকের থেকে এই সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দু'ডিগ্রি কম। শুধু শহরই নয়, কাঁপছে জেলাও। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ- সর্বত্রই ঠান্ডার আমেজ।[রাত পোহালেই সব জনস্রোত মিলে যাবে সাগরসঙ্গমে মকরসংক্রান্তির পূণ্যস্নানে]
এদিন লক্ষ্যণীয়ভাবে জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারের তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি নীচে নামে। কোচবিহারের তাপমাত্রা ৫.৫ ডিগ্রি। জলপাইগুড়ির তাপমাত্রা ৬.২ ডিগ্রি। মালদার তাপমাত্র অবশ্য একটু বেশিই ১০ ডিগ্রি। তাও স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি নীচে। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতেও শীতের দাপট অব্যাত রয়েছে। কাঁপছে শ্রীনিকেতন থেকে বাঁকুড়া।
শ্রীনিকেতনের তাপমাত্রা ৭.৬। এই তাপমাত্রাও স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি কম। বাঁকুড়া ৯.২। স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি কম। ডায়মন্ড হারবারে তাপমাত্রা ১১.৬ ডিগ্রি। শহরের পারদ দু'ডিগ্রি নীচে নামলেও, জেলাগুলিতে স্বাভাবিকের থেকে ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি নীচে নেমে গিয়েছে তাপমাত্রা।
পৌষের শেষদিনে পারদ যে অস্বাভাবিক হারে নামবে, শীতলতম দিন হবে পৌষ সংক্রান্তি, সেই পূর্বাভাস ছিলই। সেই পূর্বভাস একেবারে মিলে গেল নির্দিষ্ট দিনে এসে।
উত্তর ভারতে শৈত্যপ্রবাহ চলছে। উত্তর থেকে বাধাহীন হাওয়া প্রবেশ করছে বাংলায়। সেই হাওয়াতে ভর করেই দাপট দেখাচ্ছে শীত। হাওয়া অফিসের খবর এখন বেশ কয়েকদিন শীতের আমেজ বলবৎ থাকবে।