বিহারে ভোটের আগে অন্য যুদ্ধ! শরিক বিজেপির সঙ্গেও লড়তে হবে নীতীশের দলকে
বিহারের বিধানসভা ভোটের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। এবার এই নির্বাচন মূলত হতে চলেছে নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন এনডিএ ও তেজশ্বী যাদবের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের মধ্যে।
বিহারের বিধানসভা ভোটের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। এবার এই নির্বাচন মূলত হতে চলেছে নীতীশ কুমারের নেতৃত্বাধীন এনডিএ ও তেজশ্বী যাদবের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের মধ্যে। তার আগে আসন ভাগাভাগি নিয়ে লড়াই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। আর সেই যুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার তথা শাসকদল জেডিইউকে এবার লড়তে হবে শরিক এনডিএ-র সঙ্গেও।
জেডিইউ-এর বেশি আসন দাবি
জেডিইউ নেতা প্রশান্ত কিশোর ইতিমধ্যেই দলের তরফে ২০২০ বিধানসভায় বিজেপির চেয়ে বেশি আসন দাবি করেছেন। তাঁর এই দাবি ক্ষমতাসীন শিবিরে প্রথম থেকেই বিড়ম্বনা সৃষ্টি করেছিল। প্রশান্ত কিশোরকে উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সুশীল কুমার মোদী কটূক্তি করেন এই মর্মে।
বিহারে ভোটের আগে অমিত বার্তা
দুই শরিক দলের লড়াই যখন ভোট ঘোষাণার আগে থেকেই চরমে, তখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান, নীতীশ কুমারের নেতৃত্বেই এনডিএ ২০২০-র বিহার বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। শীঘ্রই এলজেপির সঙ্গে আসন ভাগাভাগি চূড়ান্ত করা হবে। উল্লেখ্য, বিহারের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের অন্যতম শরিক এলজেপি।
এলপেজিও আসন ভাগাভাগির লড়াইয়ে
তবে এলপেজির সঙ্গেও আসন ভাগাভাগি নিয়ে যে সংকট এত সহজে মিটবে না তা বিলক্ষণ জানে এনডিএ জোটের বড় শরিক বিজেপি। এলপেজি বিহারে কমপক্ষে ৪৩টি আসনে শক্তিশালী। তাঁরা তাই ৪৩টির চেয়েও বেশি আসন দাবি করতে পারে। এখন থেকেই জেডিইউের পাশাপাশি এলপেজিকে নিয়েও বিড়়ম্বনায় পড়তে হবে বিজেপিকে।
শরিকি দ্বন্দ্বে জেরবার হতে হবে না তো!
উল্লেখ্য, বিহারের আগেই ঝাড়খণ্ড বিধানসভার নির্বাচন হয়েছিল। সেখানে শরিকি দ্বন্দ্বে জেরবার হতে হয়েছিল বিজেপিকে। একে একে পাশ থেকে থেকে সরে গিয়েছিল জেডিইউ, এলজিপি, এজেএসইউ। ফলে ঝাড়খণ্ডে মহাজোটের বিরুদ্ধে একা লড়তে হয়েছিল শাসক বিজেপিকে। যথারীতি তারা মুখ থুবড়ে পড়েছিল ভোটে। ক্ষমতায় এসছিল জেজেএম সুপ্রিমো হেমন্ত সোরেনের নেতৃত্বাধীন মহাজোট।
নির্ভয়ার দোষীদের ফাঁসি বহাল থাকার পর নিগৃহীতার মা কোন প্রতিক্রিয়া জানালেন